কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের বাহেরনগর গ্রামের রিয়াজ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে। এরই জের ধরে, মোছাঃ আছিয়া আক্তারকে গত ১২ এপ্রিল রাতে রিয়াজ মিয়া ধর্ষণ করার অভিযোগ বাজিতপুর থানায় ১৬ দিন পর থানা পুলিশকে জানানোর পর অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগটি গত ২৮ এপ্রিল বাজিতপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে বলে মামলার বাদী সাংবাদিকদের নিকট জানিয়েছেন। মামলার বাদী আছিয়া আক্তার এই প্রতিবেদকে বলেন, দুলাল মিয়া ও হামিদ মিয়াকে ক্ষোবের কারণে এই মামলায় ঢুকিয়েছেন। তবে তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই ঘটনা নিয়ে দুলাল ও হামিদ তালবাহানা করেছে বলে মামলায় জড়িয়েছেন। রিয়াজ মিয়া গত কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে বলে তার পিতা কামাল উদ্দিন ও এলাকাবাসী সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। জানাযায়, মোছাঃ আছিয়া আক্তার (২০) এর বিয়ে মোঃ ফাইকুল মিয়ার সঙ্গে ২ বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। তার স্বামী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তাহের গতকাল এই প্রতিবেদকে জানান, মোছাঃ আছিয়া আক্তারের স্বামী (আছিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে) ফাইকুল মিয়া একটি চুরির মামলা করেন। এর জের ধরে আছিয়া আক্তার রিয়াজের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ মামলা করেছে বলে ব্যাক্ত করেন। রিয়াজের বাবা কামাল উদ্দিন জানান, এলাকার কথিত দরবারীরা তাদের কাছে ৮০ হাজার টাকা চায়। ঐ টাকা দিতে না পারার কারণে এলাকার কথিত দরবারীরা তার ছেলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সাজানো ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন বলে তার দাবী। তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে দুলাল ও হামিদ আদৌ জড়িত নয়। বাজিতপুর থানার ইনচার্জ মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণে সহযোগীতা করার কারণে দুলাল ও কামালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।