লালমনিরহাটে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়ার মুল এজেন্ট সুুজন শাহা (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে সুজনের স্বীকারোক্তিতে শাহীন ইসলাম(২৭) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (৩ মে) রাতে লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম প্রেস রিলিজ আকারে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিকট অবগত করেন।
এর আগে ২ মে(রোববার) রাতে লালমনিরহাট সদর থানার তিনদিঘি মাঝাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুুজন শাহাকে গ্রফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার সুজন সাহা জেলা শহরের সাপটানা এলাকার সন্তোষ সাহার ছেলে এবং শাহীন ইসলাম সাপটানা ভাতরী এলাকার মৃত জোনাব আলীরর ছেলে।
সদর থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত সুজন শাহার নিকট অনলাইন জুয়ায় ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এর মধ্যে একটিতে ইবঃ৩৬৫ নামের একটি এ্যাপস চলামান ছিল। এ সময় তার মোবাইলে সধংঁফধৎহম৭৮ নামে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন হয় এবং এতে ৬৫ ডলার ব্যালেন্স ও চার জনের বিট বাজি চলামন ছিলো বলেও প্রস নোটে জানানো হয়।
গ্রেফতার সুজন শাহাকে দিনব্যাপী জিজ্ঞাবাদ করার পর সে জানায় লালমনিরহাটের আরিফুল রহমান রচি নামক এক ব্যক্তি ইবঃ৩৬৫ এ্যাপ অনলাইন জুয়ার মুল এজেন্ট। ওই ব্যাক্তিই লালমনিরহাট জেলায় অনলাইন জুয়া পরিচালনা করার জন্য সুজন শাহাসহ ১০/১৫ জন সাব এজেন্ট নিয়োগ করে। বেটের এ জুয়ায় প্রতি ১লাখ টাকার বিপরীতে ৫০০০টাকা এজেন্ট ও সাব এজেন্ট পায় বলেও স্বীকার করে সুজন। অনেক সাব এজেন্ট আবার নিজেরাও এ এ্যাপস ব্যবহার করে জুয়া খেলে থাকে৷ জিজ্ঞাবাদে বাকি এজেন্টদের নাম বললেও গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ।
অনলাইন জুয়ায় সম্পৃক্ততা এবং সুজন শাহার স্বীকারোক্তি ও সনাক্তমতে অপর এক আসামি শাহীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এ অনলাইন জুয়া খেলায় জুয়ারিদের একত্র হওয়ার প্রয়জন হয় না। শুধু ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরিচালিত হয় এটি। অনলাইন জুয়ায় এজেন্টদের অনেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সর্বস্বান্ত হয়েছে জুয়ারিরা।
এবিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম বলেন, মুল এজেন্ট ও সাব এজেন্টদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার অন্তর্ভুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।