নীলফামারীর সৈয়দপুরে পিতার মিথ্যা অপহরণ মামলার বিরুদ্ধে ৪ এপ্রিল দুপুরে নিজ পুত্র সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভুজারিপাড়ায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুত্র আবদুল মান্নান লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। এ সময় সে বলে আমার বাবা আবু মোতালেব ওরফে হাগুরা একজন লোভী ও কুচরিত্রের মানুষ। তার অত্যাচারে একসময় আমার মা আবেদা বেগম আমাদের তিন ভাইকে নিয়ে বাবার বাড়ি কামারপুকুরে আশ্রয় নেয়। প্রায় ৮ বছর মামার বাড়িতে অবস্থান করে কিছুদিন আগে আবার আমিসহ মা বাড়িতে ফিরে আসি। কিন্তু অল্পদিন পরেই আবার আমার বাবা আমার ও মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। শেষে আমার মা আমাকে প্রানে বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামের সমাজসেবী মোন্নাফ আলী সরকারের ছেলে মাহমুদ হাসান রকির হাতে আমাকে তুলে দেন। সেই সুবাদে আমি মোন্নাফ আলী সরকারের বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করি। অনেক সময় তাদের বাড়িতে রাত্রিও যাপন করি। আমি পেশায় একজন গ্রীল মিস্ত্রি। এ পেশাকে নির্বিগ্নে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা আর্থিক ও মানসিক ভাবে আমাকে সহযোগিতা করে থাকে। ফলে ওই পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ট হয়ে পড়ি। কিন্তু আমার বাবা এলাকার কিছু কুচক্রি মহলের সহায়তায় ও আর্থিকভাবে লাভবান হতে মোন্নাফ আলী সরকার ও তার পুত্র মাহমুদ হাসান রকির বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করে। গত ২ মে পুলিশ তদন্তে এলে মামলার বিষয়টি আমি জানতে পারি। এতে আমার বাবা ও কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস হয়ে যায়। পরে অনুসন্ধান করে জানলাম মোন্নাফ আলী সরকার আগামী ইউপি নির্বাচনে একজন শক্তিশালী চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাকে হেনস্তা করতে আমার লোভী ও নারী লিপ্সু পিতাকে ব্যবহার করে কুচক্রিরা মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমি অদ্যাবধি গ্রামে আছি এবং নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি। সুতরাং আমাকে অপহরণের বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।