মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তাদের সুবিধার্থে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নির্ধারিত কিছু পণ্য কম দামে বিক্রিয়ের উদ্যোগ নিলেও উপজেলার কোথাও মিলছে না এসব পণ্যের। ফলে সাধারণ মানুষ কম দামে এই পণ্য কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সূত্রে জানাযায়, রমজান মাসে মানুষের সুবিধার্থে পাঁচটি পণ্য তুলনামূলক কম দামে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যগুলোর মধ্যে রায়েছে ভোজ্য তেল, ছোলা, চিনি, ডাল ও খেজুর। এই পণ্যগুলো নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে বিক্রি করার কথা। কিন্তু টিসিবির পণ্য বিক্রিয় করা ডিলারদের জন্য কম লাভজনক হওয়ায় তাঁরা এই পণ্য উত্তোলন ও বিক্রি করছেন না।
উপজেলার টিসিবি ডিলার শ্যামল ধর বলেন, টিসিবির কার্যালয় থেকে পণ্য উত্তোলন করে বুঝে আনা অনেক কষ্ট কর। এই লকডাউনের মধ্যে পরিবহনেও অনেক ঝামেলা। এসব পণ্য উত্তোলন করতে ও ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই পরিবহন খরচ দিয়ে এসব পণ্য ঢাকা হতে এনে বিক্রি করে তেমন একটা লাভ হয় না। উপজেলা পর্যায়ে এসব পণ্য নিয়ে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়।
সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসয়ী দিপু বলেন, একসময় রমজান মাসে টিসিবির এসব পণ্য ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করাতে দেখতাম। মানুষ কম দামে এই পণ্য লাইনে দরিয়ে ক্রয় করত। কিন্তু এই রমজানে উপজেলার কোথাও টিসিবি পণ্য বিক্রি হতে দেখিনি। কিন্তু এই লকডাউনে কম দামে এসব পণ্য পেলে মানুষের অনেক উপকার হতো। বিষেশ করে নি¤œ আয়ের মানুষেরা বেশি উপকৃত হত।
সিরাজদিখান উপজেলার ক্যাব সভাপতি শামসুজ্জামান পনির বলেন, ‘ডিলাররা পণ্য বিক্রি না করলে তাঁদের ডিলারশিপ বাতিল করা উচিত। আমাদের এখানে এসব পণ্যের চাহিদা বেশি, বিক্রি করাও সহজ। অথচ জনসংখ্যার অনুপাতে ডিলার নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় টিসিবির একজন মাত্র ডিলার আছেন। রমজানের আগে একবার সে মালামাল পেয়েছিলো তা জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজারে বিক্রয় করছেন। নতুন বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে মালামাল পেলে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারের বিক্রয় করা হবে।