করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউন চলছে দেশব্যাপী। এই লকডাউনের মধ্যেও পাবনার চাটমোহরের মানুষ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছেন মানুষ। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা সবার মাঝে। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন মাস্ক ব্যবহারে গণসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে জরিমানাও করছে। কিন্তু মানুষ বিধি নিষেধের যেন তোয়াক্কাই করছেন না। হাট-বাজার,রাস্তা-ঞাট আর দোকানপাটে অসংখ্যমানুষের ভিড়। কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। অধিকাংশ ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,চাটমোহরে এ পর্যন্ত ৭৩ কনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্যরা হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন আছেন। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল ১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরআগে ২৫ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৩ জনের শরীরে।
চাটমোহরের মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া হকার্স মার্কেটেও বেশ ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেল পোশাক ও জুতার দোকান ছাড়াও কসমেটিকসের দোকানেও বেজায় ভিড়। তবে কোন দোকান বা বিপনী বিতানেই সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই। মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
চাটমোহর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান,লকডাউনের শুরু থেকেই পুলিশ মাঠে রয়েছে। উপজেলার সর্বত্র মানুষকে সচেতন করতে পুলিশ কাজ করছে। মাস্ক ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে আগে সচেতন হতে হবে।
চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ আঃ হামিদ মাস্টার বললেন,আমাদের সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। লকডাউনের শুরু থেকে উপজেলা প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তিনি জানান,করোনাকালীন সময়ে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। আমরাও নানাভাবে সহায্য-সহযোগিতা করছি। চাটমোহরের কোন মানুষ না থেয়ে থাকবেনা। তবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে।