জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার সাধুপুর এলাকায় ধান খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। সোমবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৮ টায় উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বাবুল শেখ (৪০) প্রতিপক্ষের পিটুনিতে মারা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জেলার মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের সাধুপুর এলাকায় ধান খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে বাবুল শেখের সাথে লাল মিয়া, সরাফত আলীর লোকজনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জের ধরে ৩০-৩৫জনের সংঘবদ্ধ দল বাবুল শেখের বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবুল, শাহিন, হৃদয়, মুক্তি, সিয়াম, রশিদ ও সোহেলকে পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে। পরে এলাকাবাসিরা তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে আহত বাবুল শেখ, শাহিন, হৃদয় ও মুক্তির অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করে। পরে সেখানে বাবুল শেখ এর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে বাবুল শেখ মারা যায়। নিহত বাবুল শেখ সাধুপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মুনছব শেখের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুক্তি বাদী হয়ে মোট ১৬জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পর মেলান্দহ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শরাফত আলী ফেকু,বাদশা শেখ, ছফুরা খাতুন, শেফালী বেগম নামে ৪জনকে আটক করে। নিহত বাবুল শেখের স্ত্রী আসমা আক্তার লাকী জানায়, যারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন বাঘা জানান, বাবুল শেখ নয়ানগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তার এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এম. ময়নুল ইসলাম তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় নিহত বাবুল শেখের বড় ভাই মুক্তি বাদী হয়ে মোট ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪জন আসামিকে আটক করেছে।