ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে ভিন্ন উৎসবে মেতে উঠা। আর এই আনন্দকে সামনে রেখে ধনী দরিদ্র সবাই নতুন পোশাক কিনতে হাট-বাজারের বিপণী গুলোতে ভীড় জমায়। বিত্তবান এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন শহরের নামি-দামি এবং বিলাসবহুল পিপণী গুলোতে আর দরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারের লোকজন জেলা বা পৌর শহরের ফুটপাতের দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটা করে থাকেন।
করোনা মহামারির মধ্যেও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুজানগর পৌর শহরের বিভিন্ন বিপণী গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সমাজের বিত্তবান এবং সচ্ছল পরিবারের লোকজন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিলাসবহুল মার্কেটে নানা নামের নানা রংয়ের মূল্যবান পোশাক কেনাকাটা করছেন। আর উপজেলার দরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারের লোকজন কেনা-কাটার জন্য ভীড় করছেন পৌর শহরের ফুটপাতের দোকান গুলোতে। গত ৪/৫দিন হলো ফুটপাতের পোশাকের দোকান গুলোতে দরিদ্র মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনছেন কম দামি চিরচেনা শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, ফ্রগ, কামিজ এবং শাড়ী ও লুঙ্গী। পৌর শহরের ফুটপাতে কেনা কাটা করতে আসা উপজেলার কাদোয়া গ্রামের দিনমজুর আবদুস সাত্তার বলেন ঈদে ছোট ছেলে-মেয়েদের খুশি করতে নতুন পোশাক কিনতে হবে। কিন্তু নামি-দামি দোকানে কেনাকাটা করার সামর্থ্য নেই তাই তবে ফুটপাতের দোকানে এসেছে। একই রকমের কথা বলেন উপজেলার রাধানগর গ্রামের ভ্যান চালক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন সমাজের ধনী লোকজন বড় বড় মার্কেটে ঈদের পোশাক কেনে। আর আমরা যারা দরিদ্র মানুষ তারা ছেলে-মেয়েকে খুশি করতে ফুটপাতে কেনাকাটা করি। তবে ফুটপাতের দোকানেও গত বছরের তুলনায় এ বছর সব পোশাকেরই দাম বেশি বলে তিনি জানান। গত বছর শিশু-কিশোরদের যে শার্ট ও ফ্রগ ৪/৫‘শ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা এবার ৬/৭‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে অনেক দরিদ্র পরিবারের পক্ষে পছন্দমতো পোশাক কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে ভুক্তভোগী ক্রেতারা জানান।