করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন সচেতনা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত রাষ্ট্রীয় এই দপ্তরের সার্বিক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্বসহ কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে।
সরকার ঘোষিত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ পরিস্থিতিতে বিশেষ এই কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও সুসংহত করতে অধিদপ্তরের আয়োজনে করেনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রচার কৌশল বাস্তবায়ন ও সুরক্ষা বিষয়ক ভার্চুয়াল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার। কিশোরগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক জানান, ভার্চুয়াল কর্মশালায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ৬৪ জেলা তথ্য অফিস এবং ৪টি পার্বত্য উপজেলা তথ্য অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের পরিচালক, উপপরিচালক এবং তথ্য কর্মকর্তাসহ ৯১ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এর বাইরেও কর্মশালায় অংশ নেন তথ্য অধিদপ্তর এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের একজন করে কর্মকর্তা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য কর্মকর্তাকে নিষ্ঠার সঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচার কাজ বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন তিনি।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) মো: মনিরুজ্জামান।
করোনাকালীন কার্যকর প্রচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা বিষয়ে তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর, ঢাকা’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকতা এ এস এম আলমগীর।
কোভিঢ-১৯ ঝুঁকি কমাতে যোগাযোগ এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বিষয়ে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফ, বাংলাদেশের ম্যানেজার (যোগাযোগ ও উন্নয়ন) ইয়াসমিন খান।
এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো. আনছার আলী দুর্যোগ সময়ে প্রচার কাজ বাস্তবায়ন: বরদ্দ ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত তথ্য কর্মকর্তাদের কর্মকা-ের প্রসংশা করেন। করোনাকালীন প্রচার কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
আলোচকদের উপস্থাপনায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের চলমান প্রচার কৌশলে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা, শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং অবশ্যই টিকা নেয়ার মত স্বাস্থ্যবিধি সাধারণকে জানানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
এছাড়াও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের আন্ত:ব্যক্তিক যোগাযোগ কৌশল ব্যবহার করে সড়ক ও পথপ্রচারের মাধ্যমে এমন প্রচার-প্রচারণাকে আরও বেশি করে তৃণমূলের কাছে পৌঁছানোর উপর জোর দেয়া হয়।