জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমেরে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর নিজ বাড়ীতে যায় সিহাব ও তার ছয় সঙ্গি। তাদের উপস্থিতি দেখে ওই স্কুল ছাত্রীর মা গ্রামবাসীকে জানালে তারা ওই সাত বখাটেকে আটক করে। পরে থানা পুলিশে সর্পোদ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর লজ্জায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করে। এ ঘটনাটি উপজেলার আটিগ্রামে ঘটেছে।
ক্ষেতলাল থানা অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সময় উপজেলায় আটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের (শরৎ চন্দ্র বর্মণ এর) নবম শ্রেণিতে পড়-য়া স্কুল ছাত্রী ডলি রানী (১৫) তার নিজ বাড়ীতে বখাটে সাত কিশোর প্রবেশ করে জোড় পূর্বক ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে তার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থান সমূহে স্পর্শ করে শিহাব ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায় তাকে বাড়ী থেকে জোড়করে টেনে বের করে আনার সময় ওই ছাত্রী ও তার মা’র আত্ম চিৎকারে পার্শের বাড়ীর লোকজন ছুটে এসে বখাটেদের হাত থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ওই সাত জনকে আটক করে। পরে ঘটনাটি ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানালে ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল ও (ওসি তদন্ত) সাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই সাত বখাটেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ দিকে মেয়েটি লজ্জায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করলে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আটককৃত হলো উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে শিহাব (১৯),আসমত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম(১৯),ইসলাম পুর গ্রামের ইব্রাহিম এর ছেলে মোমিন (১৮), রামপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে আশরাফুল (১৯), খলিলুর রহমানের ছেলে লিটন (১৯), সূর্যবান গ্রামের আজিমদ্দিন এর ছেলে ইমন (১৮), আটিগ্রামের ছামছুল আলম এর ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম (১৯)। আটককৃতদেক এলাকাবাসী উত্তম মধ্যম দিয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশের নিকট সর্পোদ করে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা (শরৎ চন্দ্র বর্মণ) বাদী হয়ে ওই সাত বখাটেদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
স্কুল ছাত্রীর মা (পলি রানী) সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে ক্ষেতলাল প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে যাওয়া আসার সময় শিহাব নামের ছেলেসহ অন্যন্য কয়েক জন ছেলে আমার মেয়েকে প্রায় উক্ত্যেত্ত করে। ওই ছেলেরায় বাড়ীতে এসে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মেয়েটি লজ্জায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করে। বর্তমান মেয়েকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ক্ষেতলাল থানা ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এ ঘটনার জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আটক কৃতদেক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।