রংপুরের বদরগঞ্জ মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন চলছে ঘঁষামাজার কাজ। ফলে যেকোনো সময় খুলে যাবে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের দ্বার।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত ৬৫ হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ৫ মে।
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। গণপূর্ত অধিদফতরের আওতাধীন ওই মসজিদের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
বগুড়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কবীর ট্রেডার্স মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পায়। এরপর দু’বছর ধরে চলে ওই মসজিদের নির্মাণ কাজ। তিন তলা বিশিষ্ট ওই মসজিদের নীচতলায় রয়েছে সাইকেল গ্যারেজ ও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, মরদেহ গোসল করানোর পাশাপাশি জানাযার স্থান।
দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পুরুষদের জন্য নামাজের স্থান। তৃতীয় তলায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নামাজের স্থান রয়েছে। পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বহুতল এ মসজিদে রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাঠাগার, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ইত্যাদি। মসজিদের সামনে রয়েছে সুউচ্চ মিনার। মসজিদে ওঠার বিশাল সিঁড়ির মাঝখানে মাটিতে বেড়ে ওঠা ঘাঁষ যেন সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় মসজিদে আগতদের।
কথা হয় কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কবীর ট্রেডার্সের সাইট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মসজিদের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু ঘঁষামাজার কাজ চলছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার মাওলানা আনিছুর রহমান বলেন, মডেল মসজিদ নির্মাণ- বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কেননা এখানে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একটি গবেষণা কেন্দ্র থাকবে। বদরগঞ্জ মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ মসজিদে এক সঙ্গে দু’হাজার নারী-পুরুষ নামাজ আদায়ে সক্ষম হবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট বলেন, একযোগে বাংলাদেশের সব জেলায় ও উপজেলায় সরকারি খরচে মসজিদ নির্মাণ- এক বিরল ঘটনা। আর এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপের কারণে।
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ- এটা শুধু দেশে নয় মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। ইসলামের মর্মবাণী তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহতী উদ্যোগ।