সরাইলের নক্ষত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর শাহজাহান ঠাকুরের (৭৯) বিদায়। বুধবার ভোর ৫টায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র ছেলে রবিন সহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ যোহর সরাইল সদরের বিকাল বাজার শাহী (হাটখোলা) জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাঁর লাশ নিজ গ্রাম বড়দেওয়ান পাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ বাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয় জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের মত শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মানবিক সরাইল নামের সংগঠন। পারিবারিক সূত্র জানায়, ডক্টর শাহজাহান ঠাকুরসহ তারা পাঁচ ভাই-ই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। গত ৩-৪ বছরের মধ্যে ওঁর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেক ঠাকুর, জুনায়েদ উদ্দিন ঠাকুর, নাসির ঠাকুর ও জিয়াউদ্দিন ঠাকুর মারা যান। শাহজাহান ঠাকুর ছিলেন সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব, খ্যাতিমান লেখক, ছন্দ শাস্ত্রের পন্ডিত, প্রাবন্ধিক, ইতিহাসবিদ, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, সাহিত্যিক ও গবেষক। সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, বড় দেওয়ান পাড়ার কৃতী সন্তান ও ঈশা খাঁ স্মৃতি পরিষদের প্রাণ পুরূষ শাহজাহান ঠাকুর ছিলেন প্রয়াত আবু সোলাইমান ঠাকুরের তৃতীয় ছেলে। তাঁর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আরিফুল হক মৃদুল, সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন ও সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন। বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী শাহজাহান ঠাকুরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ও আ.লীগ নেতা সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান প্রমূখ।