নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতিবেশির গাছের ডালের কারণে আরেক প্রতিবেশি তার বসতঘর তুলতে পারছেন না। ফলে কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে পাকাঘর করতে গিয়ে নির্মাণ কাজ প্রায় ১ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। বসতঘর নির্মাণ না হওয়ায় ওই পরিবারের ৭ সদস্য অন্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই ঘোনপাড়া এলাকায়। এ বিষয়ে বসতঘর নির্মাণকারী মো. আলাউদ্দিন সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ সেখানে গেলে গাছের মালিককে ডালটি কাটার জন্য অনুরোধ করলেও তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি সমাজবিরোধী আবদুল লতিফ ওরফে পতি। অভিযোগে জানা যায়, আলাউদ্দিন আলী তার কবলা খরিদকৃত বসতভিটা জমিতে আধাপাকা ঘর ভেঙ্গে পাকাঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেন। কিন্তু বসতবাড়ির সীমানার কাছে প্রতিবেশি আবদুল লতিফ ওরফে পতির একটি অন্টিকড়াই গাছ রয়েছে। ওই গাছের ডাল চলে এসেছে আলাউদ্দিনের সীমানায়। গাছের ডালটি না কাটলে বসতঘরটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে গাছের ওই ডালটি কাটার জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা গাছের মালিককে বিনীত অনুরোধ করার পরও মন গলেনি ওই সমাজ বিরোধী গাছ মালিকের। তাছাড়া ভরা বর্ষায় ঝড়বৃষ্টির কারণে যেকোন সময় গাছের ওই ডালটি ভেঙ্গে নির্মাণকৃত বাড়িতে পড়ে বড়ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি গাছের ওই ডালটি ভেঙ্গে পড়ে নির্মাণকৃত বসতবাড়ি বা কোন মানুষের ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে এর দায়ভার কে নেবে। এদিকে গাছের মালিক বিএনপি পন্থি হওয়ায় অসহায় ওই মানুষগুলোকে নানাভাবে ভয়ভীতি এবং খুন জখম করিবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য আনছারুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গাছের মালিক একজন অসামাজিক লোক। তার সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো না। এদিকে গাছের ডালটি কাটার বিষয়ে কামারপুকুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের সাথে কথা হলে তিনিও ওই লোকের সাথে কথা বলতে নারাজ। গাছের মালিক বিএনপি পন্থি এবং ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমানও সেখানে কথা বলতে নারাজ। বর্তমানে বসতঘরটি নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ওই পরিবারের সদস্যরা নিদারুন কষ্ট ভোগ করছে।