সিরাজদিখানে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি একাধিক বাড়িতে দিনে দুপুরে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের গোড়াপীপাড়া গ্রামে আনোয়ার আলীর ভাড়াটিয়া মিজান ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তার বাসা এবং মালখানগর গ্রামের কলেজের দক্ষিণ পাশের আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া শামিম ঢালীর বাসায় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। দিনের বেলায় ২ ঘন্টার মধ্যে ৩ টি বাড়িতে গেটের তালা ও দরজা ভেঙ্গে চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
গ্রামীণ ফোনের ডিলার এফসিএফ-২ এর ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জানান, আইন-শৃঙ্খলার এমন পরিস্থিতি হলে কেমন হবে। দিনে দুপুরে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে আমার রুমে প্রবেশ করে চোরেরা আলমিরা, সুকেজ, ওয়্যারড্রফ ভেঙ্গে নগদ ১৪ হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়েগেছে। সকালে আমি আমার পরিবারের লোকজনকে ঢাকা দিয়ে আসি। এরপর উপজেলার তালতলা বাজার অফিসে বেলা ১১ টায় যাই। সাড়ে ১২ টার দিকে ঐ বাড়ির পাশের ভাড়াটিয়ারা ফোন দিয়ে জানায় আমার ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙ্গা। আমার পাশের ফø্যাটে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা থাকেন তার ফø্যাটেও একই অবস্থা। আমি থানায় জিডি করেছি। বাড়ি ওয়ালার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা নিবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মালখানগর গ্রামের আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া শামিম ঢালী জানান বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটের সময় আমরাঘর তালা দিয়ে মার্কেটিং করতে যাই। এক ঘন্টার মধ্যে ১ টার সময় বাড়ি ফিরে এসে দেখি দড়জা ভাঙ্গা। ভীতরে সব কিছু তছনছ। ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৮০ হাজার টাকা চোরেরা নিয়ে গেছে। আমি বিকালে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এছাড়া উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ব্রজের হাটি গ্রামে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গরুচোর সন্দেহে ৬ জনকে গণখোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ধাওয়া করলে সিএনজি গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে গাড়ি উল্টে পড়ে যায় এ সময় লোকজন তাদের আটক করে গনধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জনি ও নার্গিস নামে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা ৬ জন বরিশাল, ময়মনসিংহ, শরিতপুর ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়।
সিরাজদিখান থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, একটি বাড়িতে চুরির ঘটনার সংবাদ পেয়েছি, কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, গরুচোর সন্দেহে ৬ জনকে গণধোলাই করেছে এলাকার লোকজন। আশঙ্কাজনক ২ জনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছে। এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।