করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বোরো ধান ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠের সোনালি ফসল নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের জমির ধান কেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হুমায়ুন সুলতানের উদ্যোগে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসহায় গরীব চাষিদের পাশে দাড়িয়েছেন একদল যুবলীগ কর্মী। তারা প্রতিদিন কৃষকের ধান কাটা এবং তা বাড়িতে তোলা কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।
উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাটভিলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক জীবন রায় বলেন, আমার ৪২ শতকের ২ বিঘা জমিতে ধান হয়েছে, আকাশে মেঘ গুড়গুড় করছে। আশঙ্কায় রয়েছি কখন বৃষ্টি এসে ধান এবং বিছালী ভিজে যাই। আমাদের গ্রামে এখন শ্রমিক প্রতি ৭’শ টাকা থেকে ৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় টাকা দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোন উপায়ন্ত না পেয়ে যুবলীগ কর্মী আমার প্রতিবেশি বাপ্পীকে বললাম। তাকে বলার দুইদিন পর ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল যুবলীগ আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দূরদিনে আমার মতো সাধারন কৃষকের পাশে যুবলীগ নেতাকর্মীরা সহয়তা করায় আমি তাদের প্রতি চিরঋণি।
গ্রামে গ্রামে ধানকাটা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যুবনেতা সঞ্জয় রাহা বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হুমায়ুন সুলতানের নেতৃত্বে মণিরামপুরে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তারই উৎসাহ এবং উদ্দীপনায় আমরা গরীরব অসহায় কৃষকের পাশি দাড়িয়েছি এবং স্বেচ্ছাগ্রমে কৃষকের ধানকাটা কর্মসূচি অব্যহত রেখেছি। এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অরবিন্দু হাজরা, মাহাবুর রহমান, কামাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, অনুরুদ্ধসহ তাদের সাথে থাকা আরও অনেকে সঞ্জয়ের কথার সাথে একমত পোষণ করে বলেন, তারা গত এক সপ্তাহে উপজেলার ৫ জন কৃষকের জমির ধান কেটে তা বাড়িতে তুলে দিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের ধানকাটা এবং তা বাড়িতে তোলা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
এ ব্যপারে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন সুলতান মুঠোফোনে জানান, আমার প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল-এর অহবানে প্রতিটি গ্রামে সঙ্কটাপন্ন কৃষকদের জমির ধান কেটে দেওয়ার কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মণিরামপুরের যুবনেতারা করোনাকালিন সময়ে নিজেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাহে রমজান মাসে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে এ প্রচন্ড খরতাপে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে অসহায় গরীব দুঃখী কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যতদিন মাঠের সোনালি ফসল বোরো ধান কৃষকের বাড়িতে না উঠছে, ততদিন পর্যন্ত মণিরামপুরের যুবলীগ তাদের পাশে থাকবে।