করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছেই। সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেশী দেশটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে মানুষ। বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খাঁন বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে যাত্রী প্রবেশের হার বেড়েছে। এ অবস্থায় ভারতফেরত যাত্রীদের বর্তমানে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। ভারত থেকে ফেরা নাগরিকদের সংখ্যা আরও বাড়লে পাশের জেলায় কোয়ারেন্টাইনে রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে তিনি আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিস ঘুরে দেখেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো মেডিকেল টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি ভারত থেকে আসা রোগীর স্বজনসহ যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে-এ-আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ প্রমুখ।
ভারতে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। তবে ভারতীয় কোনো নাগরিক বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসের তথ্যমতে, বুধবার (৫ মে) ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬০ জন। বৃহস্পতিবার (৬ মে) এসেছেন শতাধিক বাংলাদেশি।