যুক্তরাষ্ট্রে কমতে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গৃহবন্দী দশা থেকে বেড়িয়ে তাই বন্ধু এবং আপনজনদের সাথে মিলিত হচ্ছে তারা। করোনা মহামারিতে বিশ্বে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী ছিল দেশটির লাখ লাখ মানুষ। সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ দেশব্যাপী ব্যাপকহারে টিকা দিয়েছে দেশটির সরকার।ফলে কমতে শুরু করেছে মৃত্যুহার। বন্দী দশা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এক বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দী দশার পর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রবীণরা মিলিত হয়েছে তাদের আপনজনের সাথে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আত্মীয় ও বন্ধু পরিজনদের সাথে মিলিত হন তারা। তাদের মিলনক্ষণ সৃষ্টি করে এক আবেগ ঘন পরিবেশের। উচ্ছাসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা ভাগাভাগি করেন। আনন্দ অশ্রুতে সিক্ত হন তারা। দক্ষিণ ফ্লোরিডার বাসিন্দা এমন ৩৫ জন প্রবীন নিউজার্সিতে এসেছেন ঘনিষ্ঠদের সাথে সাক্ষাতের জন্য। তারা জানায়, একটা কঠিন সময় পার করেছি আমরা। আমরা আমাদের পরিবারকে খুব ভালোবাসি। তারপরও অনেকদিন আমরা আলাদ থেকেছি। মেয়ের এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করায় ফ্লোরিডা থেকে আসা মা ক্রুসেট খুব উচ্ছসিত। বেশ কিছুদিনের জন্য এখানেই থাকবেন তিনি এবং বিশ্ব মা দিবস এখানেই উৎযাপন করবেন। স্বামী জর্জ প্যারেজের সাথে ইভা প্যারেজ এসেছেন তাদের মেয়ে ব্রুকলিনের বাসিন্দা ক্রিস্টিনাকে দেখতে এবং তাদের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে। এই মিলনমেলাকে অনন্য করে তুলতে স্টেডিয়ামের ভেতর আয়োজন করা হয়েছিল মধ্যাণ্হ ভোজনের। সাথে ছিল সঙ্গিত পরিবেশনা এবং ছবি তোলার জন্য ফটোবুথ।