বর্তমান বিশ্ব আজ যেখানে মানবতার মুক্তির পথ খুজছে, সেখানে আজ আমরা মানবতাকে হত্যা করছি। আমাদের এই অতি ক্ষুদ্র দেশে অধিক জনসংখ্যার বসবাস, দেশের বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে, এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস, দেশে শিক্ষিত মানুষের সংখাও তুলনামূলক কম, তাই অধিক মনুষই অসচেতন, ঠিক এই মুহুর্তেই সারাবিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশেও হানা দেয় মরণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিট ১৯), এই অবস্থায় দেশের সকল মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, দিন দিন বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সরকার জনগনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়, লকডাউন করা হয় গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা সব থেকে বড় হুমকির মুখে পড়েছে, একবেলা কাজ না করলে যাদের খাওয়া হয়না তারা আজ ঘরে বন্দি। সরকার খাদ্য যোগানের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আর সেখানেই দেখা মেলে মানবতার এক নির্মম দৃষ্টান্ত। দরিদ্র মনুষের ত্রাণ সামগ্রী লুট করছে আমাদের জাতির সেই মহা সেবকরা, যাদের ক্ষমতা দান করেছে সেই সাধারণ জনগনই। গোটা বিশ্ব যখন এই মহামারী প্রতিরোধ করার জন্য প্রাণপোন চেষ্টা করে যাচ্ছে তখোন আমরা নিজেদের সামান্য স্বার্থের জন্য মনবতাকে হত্যা করছি, আমাদের সোনার সত্নান মুক্তিযোদ্ধারাকি তাদের জীবনের বিনিময়ে এই দিন দেখার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলো, আমাদেরকে আজ শিক্ষা নিতে হবে বিশ্বের গুনি দেশগুলোর থেকে, যারা রাস্তায় খাবার রেখে যাচ্ছে অথচ কেও প্রয়োজনের বেশি খাবার নিচ্ছেনা। শুধু মাত্র দুর্নীতিই আজ আমাদের দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, এই দুর্নীতি থেকে আজও আমরা বের হতে পরিনি যার ফলে আজ আমাদের এই দুর্দশা। বর্তমান দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে করে আমাদের সামনে অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। একটু অসচেতন হলেই আমাদেরকে মহা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। এর আগেও আমরা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছি, যেটা মোকাবেলা করা কিছুটা আমাদের স্বার্থের মধ্যে ছিলো, কিন্তু এই জৈবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করা আমাদের স্বার্থের বাইরে, কারন এখনো পর্যন্ত এ রোগের কনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদেরকে অধিক সচেতনতা অবলোপন করতে হবে। সরকারকে দেশের সকল বিষয়ে ও সকল খাতে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে ব্যপক নজরদারি বাড়াতে হবে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সকল কর্মিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আর কনো ডাক্তারের মৃত্যু না ঘটে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেনা, করোনা উপসর্গ নেই এমন মানুষেরা চিকিৎসা নিতে গেলে শিকার হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার। তাই এই বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে তৎপরতার সাথে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে, সকল মৌলিক চাহিদার দিকে বিশেষ নজরদারি দিতে হবে। এ ছাড়া খাদ্য বন্টনে যে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে এই অবস্থায় সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী ও ত্রাণ বিতারন করতে হবে। তাহলে এই চলমান খাদ্য বিড়ম্বনা দুর হবে বলে আমি মনে করি। সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। আমরা এমন চিন্তা করি যে আমরা খুব ভালো খাবার না খেয়ে স্বাভাবিক খাবার খায়, আর যারা না খেয়ে আছে তাদের মুখে খাবার তুলে দেয়, তাহলেই জাতির কলঙ্ক ঘুচবে। ক্ষাদ্য সরবারাহের সঠিক ব্যবস্থা না করা গেলে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার থেকে না খেয়ে মারা যাওয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাই আসুন আমরা পরস্পর সবাই আমাদের এই সোনার বাংলার প্রত্যেক মানুষের পাসে দাড়ায়, সকলে একসাথে যুদ্ধ করি করোনা মোকাবেলায়, তাহলেই ভালো থকবো আমরা ভালো থাকবে আমাদের দেশ।
লেখক: মফস্বল সাংবাদিক, মাসুদ রানা মিঠু।