তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব গঠন করার পর উন্মাদ হয়ে গেছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে গঠন করা সেই সংগঠনের কয়েকজন হলুদ সাংবাদিক। তারা নিজেকে কখনও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক আবার কখনও সিনিয়র সাংবাদিক বলে দাবী করে উপজেলা প্রেসক্লাবের সুনাম নষ্ট করার জন্য অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। ওই হলুদ সাংবাদিকেরা দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিজ্ঞাপন সুবিধা একাই ভোগ করে আসছিলেন। এখন তারা শতভাগ সরকারি বিজ্ঞাপন সুবিধা ভোগ করতে না পারায় উন্মাদ হয়ে উঠেছেন। সুনামধন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন সহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরও মামলায় জরানো সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। এতে উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ওই সাংবাদিকেরা বিগত দিনে ৮০ ভাগ সরকারি বিজ্ঞাপন সুবিধা ভোগ করেছেন। যা তিন বছর আগের সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞাপনের ফাইল দেখলেই সত্যত্বা মিলবে। ওই হলুদ সাংবাদিকেরা হয়তো ভুলেই গেছেন যে সরকারি জমিতে মৌখিক অনুমতি নিয়ে পাঁকা ঘর তৈরির কোন নিয়ম নেই। তারা অবৈধভাবে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে তাদের সংগঠনের সেই পাঁকা ঘর তৈরি করেছেন। সেখানে বসেই চলে তাদের অপকর্ম। অবৈধ সুযোগ সুবিধা না পেলেই চালান অপ-প্রচার। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ ছাড়াও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি। কোন সরকারি অনুষ্ঠান করলেই ওই হলুদ সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানের নিউজ প্রচার করার নামে দাবী করেন মোটা অংঙ্কের টাকা। এ কারণে ওই হলুদ সাংবাদিকদের উপজেলা পরিষদের কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেন না সরকারি কর্মকর্তারা। এলাকার সচেতন মহল বলছেন, সরকারি বিজ্ঞাপন সুবিধা না পেয়ে যে হলুদ সাংবাদিকেরা সুনামধন্য উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমার লিটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছেন। সেই খবর সাপ্তাহিক একটি পত্রিকায় পড়লেই বুঝা যায়। কারণ ওই সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তারা দাবী করেছেন তাদের কে নাকি সরকারি বিজ্ঞাপন সুবিধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান দিচ্ছে না। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই হলুদ সাংবাদিকেরা গত এক বছরে ১৫ টি সরকারি বিজ্ঞাপন পেয়েছে। অথচ তারা বিজ্ঞাপন না পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধেও অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। আনিছুর রহমান লিটন হলেন একজন জনপ্রিয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তার কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তারাগঞ্জে বেড়েছে। তার ভালো কর্মকান্ডের জন্যে তাকে এলাকার মানুষ পরপর দুইবার বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মানুষের কল্যাণে দিন রাত কাজ করার জন্য ছুটে চলেছেন। মসজিদ মন্দির ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের তহবিল থেকে করেন সাহায্য সহযোগিতা। রংপুর বিভাগের মধ্যে তিনি দুইবার শ্রেষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কয়েক দিন আগে ওই হলুদ সাংবাদিকরা তাদের সংগঠনের ঘর সংস্কারের নামে চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনের কাছে টাকা নিয়েছে। এর কিছুদিন আগে তারা টিআর প্রকল্পের চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে নামমাত্র কাজ করে আত্মসাৎ করেন। এবছর টিআর প্রকল্পের টাকা চেয়ে না পেয়ে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। সাংবাদিকে অপদস্থ করার নাটক সাজিয়ে তারা চেয়ারম্যানের সুনাম নষ্ট করছেন। ওই হলুদ সাংবাদিকেরা একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় দাবি করেছেন কোনো অনুষ্ঠানে না কি তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাহলে সেইদিন তারাগঞ্জ হাটের সাপ্তাহিক হাট ডাকের সময় অনুষ্ঠানে গেলেন কি করে। এ থেকে তো বুঝা যায় তারা চেয়ারম্যানের সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ক্যাডার সেজে সেখানে গিয়েছিলেন। ওই হলুদ সাংবাদিকেরা হয়তো ভুলে গেছেন গোটা দেশে জেলা উপজেলায় একাধিক প্রেসক্লাব আছে। সেখানে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব গঠন করার পর সেই হলুদ সাংবাদিকদের হলো টা কি? তাহলে কি তারা একনায়কতন্ত্র হারানো ও ভাগ কম হওয়ার ভয়ে কি উপজেলা প্রেসক্লাবের বিরোধীতা করছেন। তাদের সংগঠনটি যে অবৈধ জায়গায় অবস্থিত উপজেলা প্রেসক্লাবটিও তার পাশেই অবস্থিত। উপজেলা প্রেসক্লাবের ঘরটি যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে তাদের সংগঠনের ঘরটি কি বৈধ জায়গায়। সড়কও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, দুটি সংগঠনের ঘরেই সড়কও জনপদের জায়গায়। তারাগঞ্জের মানুষ তো জানে তাদের সংগঠনটি একটি পারিবারিক সংগঠন। অথচ তাদের সংগঠনটি নাকি উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের একমাত্র আবাসস্থল বলে হাস্যকর কথা বলে বেড়াচ্ছেন। দৈনিক সংবাদের তারাগঞ্জ সংবাদদাতা, তারাগঞ্জ বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক ওই সংগঠনের সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওই সংগঠনটি তো সাংবাদিকদের আবাসস্থল নয়, এটি তারাগঞ্জের মানুষের কাছে এক নায়কতন্ত্র পারিবারিক সংগঠন নামে পরিচিত। উপজেলা পরিষদের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে সংগঠনের পাঁকা ঘরটি তৈরি করা হলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলে না এই সংগঠনটি। যুগ যুগ ধরে সভাপতির পদ আকড়ে ধরে আছেন একই ব্যক্তি। সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য স্ত্রী সন্তানদেরও ওই সংগঠনে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। তাদের পছন্দের লোক ছাড়া নেওয়া হয় না নতুন কোনো সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর কিংবা তিন বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেরও ওই সংগঠনে তাঁর বালাই নেই। তারা ঘরোয়াভাবে ইচ্ছে মতো কমিটি গঠন করেন। উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন অপু বলেন, উপজেলা প্রেস ক্লাবের ঘরটি তোলার পর ওই জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকসহ কয়েকজন হলুদ সাংবাদিক উন্মাদ হয়ে গেছেন। তাদের দীর্ঘদিনের একনায়কতন্ত্র ও রামরাজত্ব হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যদের মামলায় জরানো সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।