কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে হলুদ তরমুজ। পাকুন্দিয়ার দাওরাইট গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন তার জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করেন। সুন্দর রং, আকারে ছোট, রসালো আর সুস্বাদু হওয়ায় হলুদ তরমুজ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে সহজেই। কীটনাশক ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে এ তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতারা তরমুজ কিনতে আসছেন। সরাসরি জমি থেকে সূলভ মূল্যে বিষমুক্ত ফল কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
ইসমাইল হোসেন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে অনেকটা অনিশ্চয়তা নিয়েই ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ২৫ শতাংস জমিতে হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেন। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এখন তিনগুণ লাভের প্রত্যাশা করছেন তিনি।
ইসমাইলের সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য বেকার যুবকরাও হলুদ তরমুজ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তরমুজসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য জৈবিক উপায়ে উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন জানান হলুদ তরমুজ নতুন জাতের ফল হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে। এ ফল চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের সবরকম সহায়তা করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
হলুদ তরমুজ চাষ করে ইসমাইলের মতো গ্রামের শিক্ষিত বেকাররাও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হতে পারেন।