সাড়া দেশের ন্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস রয়েছে বন্ধ! এতেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মানুষের চলাচল। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। দূরপাল্লার বাস না চললেও পিকআপ, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলে চেপে ভেঙে ভেঙেই বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই। আজ সকাল থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড় এলাকায় দেখা গেছে এ চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড় এলাকায় রোববার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও ছিল উপেক্ষিত। স্বাভাবিকের থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিলেও প্রতিটি বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার মতোও পরিস্থিতি দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় এক মাস গণ-পরিবহণ বন্ধ থাকলেও, লকডাউনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই প্রাইভেট কার ,ট্রাক এবং মাইক্রোবাস কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই আন্তঃজেলার যাত্রী পরিবহণ করেছে। এদিকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।
চন্দ্রা থেকে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার যাত্রী জাকারিয়া জানান, ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য সকালে এসে বসে আছি। কোনো গাড়ি পাইনা, যাও পাই তাও আবার ভাড়া দ্বিগুণ। আগে যে ভাড়া পাঁচশত টাকা দিয়ে যেতাম এখন এক হাজার টাকা লাগে।
এ বিষয়ে সালনা হাইওয়ে (কোনাবাড়ি) থানা পুলিশের (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, দুইটার মধ্যে চন্দ্রা এলাকায় আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স থাকবে। টাঙ্গাইলের গাড়ি কালিয়াকৈর আসতে পারবে না। কোনো গাড়ি স্টেশনে থাকবে না।