সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে করে পাবনার চাটমোহরে সোনালী ব্যাংকে ব্যাপক ভিড় জমিয়েছেন গ্রাহকরা। অন্যান্য ব্যাংকগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সোনালী ব্যাংকে কোন কিছুই মানা হচ্ছেনা।
শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে সপ্তাহের প্রথম রোববার (৯ মে) ব্যাংকের প্রথম কর্মদিবস শুরু হয়। ব্যাংক খোলার আগে থেকেই গ্রাহকরা ব্যাংকের সামনে জমিয়েছেন ভিড়। বিশেষ করে সোনালী ব্যাংকে অসংখ্য গ্রাহকের ভিড়। ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে ঠাসাঠাসি করে গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কোন প্রকার নুরক্ষা সামগ্রীও নেই।
মাসের প্রথম হওয়ায় অনেকেই এসেছেন বেতন তুলতে। আবার ডিপিএসের টাকা জমা দেওয়ার জন্যও অনেকে এসেছেন। ব্যাংকগুলোতে বিরাজ করছে করোনা আতংক। কারণ ইতোপুর্বে সোনালী ব্যাংক চাটমোহর শাখার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় ব্যাংকটি লকডাউন করা হয়।
রোববার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড ভিড়। নিচ থেকে দোতলা পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নাম প্রকাশ না করে ব্যাংকে অপেক্ষামান গ্রাহকরা জানান, টাকার প্রয়োজনই স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
এরই মধ্যে স্কুল-কলেজসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতনের সাথে বোনাস দেয়া হয়েছে। বোনাস তুলে ঈদের কেনাকাটার জন্য অনেকে এসেছেন ব্যাংকে টাকা তুলতে।
সবমিলিয়ে অন্যান্য বছরের মতো এসময়ে ব্যাংকে এমনিতেই চাপ থাকে বেশী। কিন্তু এবারে করোনার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও টাকা-পয়সার প্রয়োজনে গ্রাহকরা স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে ড্যামকেয়ার ভাবেই ব্যাংকে ভিড় করছেন।