যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের (মণিরামপুর অংশের) সরকারি মেহগনি গাছের লগ স’মিলে কাটাকালে হাতে-নাতে ধরা পড়েছে। রোববার উপজেলার কুয়াদা বাজারের খালেক স’মিল থেকে মেহগনি গাছের লগ ও তক্তা উদ্ধার করে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ সময় স’মিলের মিস্ত্রী ও মালিক স্বাক্ষরিত এক লিখিত স্বীকারোক্তিতে উপজেলার ভোজগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও জেলা পরিষদের আল-আমিন নামের এক কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করেছে বলে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার নিশ্চিত করেছেন। তবে, চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, তিনি লগ ওই কর্মচারীর কাছ থেকে কিনেছেন।
জানাযায়,সম্প্রতি যশোর-চুকনাগর মহাসড়ক প্রশস্তকরনসহ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ কারণে মহাসড়কের দুই পাশের মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। কেটে ফেলা গাছের মধ্যে বড় আকৃতির মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ রয়েছে। এরমধ্যে আকৃতিতে বড় মেহগনি গাছ যার অধিকাংশের প্রতিটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ হবে বলে অনেকেই ধারনা করেন।
শুরুতেই এ গাছ নিজেদের দাবি করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, জেলা পরিষদ ও বনবিভাগের মধ্য টানাপড়েন চলে। এ সুযোগে মহাসড়কের কেটে ফেলা বড় আকৃতির মেহগনি, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হরিলুট হতে থাকে। পরে সমঝোতায় বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জেলা পরিষদের এবং অন্য গাছ বনবিভাগের আওতায় পড়ে।
এদিকে গাছ কেটে ফেলার পর থেকেই জেলা পরিষদের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীর বিরুদ্ধে গাছের লগ চুরির অভিযোগ ছিল। উদ্ধারকৃত মেহগনি গাছের লগ ও তক্তাও একই ভাবে খালেক স’মিলে চুরি করে বিক্রি করা হয়েছে।
স’মিলের প্রধান মিস্ত্রী আবদুল লতিফ বলেন, শনিবার আছরের নামাজের পর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও আল-আমিন নামের জেলা পরিষদের কর্মচারী আলমসাধুতে মেহগনি গাছের লগ নিয়ে আসেন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএম মঞ্জুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় স’মিলের মিস্ত্রী আবদুল লতিফ ও মিল মালিকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। যেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও জেলা পরিষদের কর্মচারী আল-আমিনের নাম উঠে এসেছে।
জেলা পরিষদের প্রথান নির্বাহী মোঃ আরিফ উজ্জামান জানান, ঘটনা শুনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, এ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না।