জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের নিয়োগপ্রাপ্ত মালি চেয়ারম্যান গানম্যানে হিসেবে কাজ করছেন।
গত শনিবারে জামালপুর সিংহজানি খাদ্য গুদামে বোরো মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্বশস্ত্র অবস্থায় গোদামে আসেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের নিজে নামে করা আগ্নেয়াস্ত্রটি উপজেলা পরিষদের একজন মালি খোরশেদ আলমকে দিয়ে প্রর্দশন করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে জেলা শহরে জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন সিআইপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী। ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আবুল হোসেন। সরকারী খাদ্য গুদামের অনুষ্ঠানে তার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শিত করা হয়। এ সময় তার অস্ত্রটি বহন করছিলেন, তারই অফিসের খোরশেদ আলম নামে একজন মালি।
মালি খোরশেদ আলম জানান, তিনি আসলে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের মালি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্কিত। ওই মালি আমার দেহরক্ষী নয়। শর্টগানটি আমার গাড়িতে ছিল। সে গাড়ি থেকে হাতে নিয়েছিল। মালি একজন অশিক্ষিত লোক, ফলে এই ঘটনাটি ঘটিয়ে বলে জানান।
ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান। এ সময় জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ ছানোয়ার হোসেন ছানু উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে চেষ্ঠা করে নেয় সম্ভব হয়নি।