অন্যের জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ভাড়ায় বসবাস করা প্রতিবন্ধী মাসুদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই।
সোমবার (১০ মে) বেলা ১১টার দিকে ইউএনও খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হন মাসুদা বেগমের ভাড়া বাড়ি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মাসুদাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দিবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের প্রথম তিন বছর শ্বশুর বাড়িতে থাকলেও ভাসুর জমি কেড়ে নিলে সাত বছর বাবার বাড়ির একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকতেন মাসুদা। তার ভাইয়েরা বিয়ে করলে ঘরে জায়গা সংকুলান হয় না। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির কাজ করার শর্তে একটি টঙ ঘরে স্থান হয় মাসুদার পরিবারের। সেখানে থাকেন ১২ বছর। বর্তমানে পশ্চিম কোটাপাড়ার বাবুল মুন্সীর একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকছেন তিনি। একমাত্র ছেলে মাসুদ ছৈয়াল একটি কোম্পানির ভ্যান চালক।
মাসুদা বেগম বলেন, ‘স্বামী বর্তমানে মাটির কাজ করেন। কাজের মজুরিও কম। করোনার কারণে কাজও নেই। নেই এক টুকরা জমি, নেই ঘর। তাই ভাড়া থাকি। ছেলে কাজ করে যা পায় তা দিয়ে ঘর ভাড়া দেই। আজ ইউএনও আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন আমি খুব খুশি।
ইউএনও মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘একটি নিউজের মাধ্যমে এই দুঃখী মানুষের কথা জানতে পারি। তাই আজ তার কাছে আমরা এসেছি। এসে জানতে পারলাম তার কোনো জমি নেই, ঘরও নেই। জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকছেন। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে ভূমিহীন তালিকায় উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর অবশ্যই তাকে দেয়া হবে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে তিনি তার পরিবার নিয়ে ঘরে উঠতে পারবেন। আমি মাসুদার পাশে থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’