পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে সোমবার বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমাদনি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সীমাšত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার বন্ধ রয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে পবিত্র ঈদণ্ডউল-ফিতররের ছুটিতে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম। এরপর ১৬ মে রোববার আবার বাণিজ্য শুরু হবে এ বন্দরে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (অপারেশন) আজিজুল হক বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়েছে।
দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী বন্দর বেনাপোল স্থলবন্দর। স্থল পথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ পথে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। তাদের ফেরার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।