ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় আবারও দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইহুদি বাহিনীর বিমান হামলা ও হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় দু’পক্ষই যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। দফায় দফায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে হামাসের শীর্ষ এক কমান্ডারও রয়েছেন। এত কিছুর পরও হামাসের রকেট হামলার নিন্দা জানিয়ে তেল আবিবের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ভবন মুহূর্তেই ধসে পড়তে দেখা যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ও গুঁড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধুলায় ছেয়ে যায় চারপাশ। ব্যস্ততম শহরে ভবনটির অবস্থান হওয়ায় অনেক সাধারণ ফিলিস্তিন এতে হতাহত হন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিজার সরাসরি সম্প্রচারে থাকা এক প্রতিবেদক যখন সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাচ্ছিলেন তখনই সেই বিমান হামলা চালানো হয়।
ব্যস্ততম এলাকার পাশাপাশি গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় মুহুর্মুহু হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হামাসের গাজা শহরের শীর্ষ কমান্ডার মাসেম ইসা নিহত হন বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গাজায় ইসরায়েলি বিমান থেকে ছোড়া বোমার আঘাত থেকে রক্ষা পাননি অন্তঃসত্ত্বা নারী কিংবা শিশুও।
পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরাইলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। অবৈধভাবে ভূমি দখলের প্রতিবাদে ইসরাইলের আশকেলনে চালানো রকেট হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয় বলে জানা গেছে। ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ কেন্দ্রেও রকেট হামলা চালায় হামাস।