করোনা মোকাবেলায় ৫০ শয্যা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একটি আইসোলেশন কক্ষ। ওই কক্ষকে ঘিরেই হাসপাতালে করোনা নিয়ে কাজ করছেন ১৫ সদস্যের একটি টিম। নন-এসি ওই আইসোলেশন কক্ষটি এখন নিজেই করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে ওই কক্ষটি করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। দেশের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা ভাল না। আক্রান্তের লাঘাম টানতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে এ হাসপাতালের আইসোলেশন কক্ষটি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের। সম্প্রতি সরজমিনে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলার প্রথম ফটকে ঝুলছে তালা। তালা খুলে ভেতরে পা রাখতেই ফ্লোরে বালুর স্তুপ। আইসোলেশন কক্ষে প্রবেশের রাস্তায়ও বালু প্রলেপ। পাশের টয়লেট গুলো ময়লা আবর্জনায় সয়লাব। কমোটে ও নীচে ময়লা। কয়েকটি একেবারে ব্যবহার অনুপযোগি। বেসিন গুলোতে নেই সাবান ও টিস্যু। লালচে দাগ পড়ে নাস্তে নাবোদ অবস্থা। আইসোলেশন কক্ষে প্রবেশ করেই চমকে যেতে হয়েছে। কারণ প্রবেশদ্বারে নেই জীবানু নাশক স্প্রে বা স্যানিটাইজার। তিনটি বেড। সবকটি বেডেই প্রচুর ধুলো। একটি মাত্র সিলিং ফ্যান। দেওয়ালে শেওলা ও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। কিছু জায়গায় টাইলস্ ওঠে গেছে। দেওয়ালে ঝুলছে মশলা। কক্ষের সাথেই যুক্ত টয়লেট। টয়লেটে প্রবেশের দরজা ভাঙ্গা। কোথাও নেই স্যান্ডেল। নেই সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার। সব মিলিয়ে ওই কক্ষটি মানুষ থাকার অনুপযোগি। স্বচোখে না দেখলে বুঝা যাবে না। প্রসঙ্গত: ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে করোনার আভির্ভাব ঘটে সারাদেশে। তখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর ভয়ে কাঁপতে থাকেন মানুষ। করোনা সনাক্ত হওয়ার পরই চিকিৎসক ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় রোগীকে পাঠিয়ে দেয়া হত জেলা শহরের আইসোলেশনে। জরূরী প্রয়োজন মোকাবেলায় এক পর্যায়ে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষেও একটি আইসোলেশন কক্ষ খোলা হয়। ওই কক্ষটিতে হাসপাতালের ষ্টাফ নেছার তাছলিমা সহ ৪-৫ জন আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এরপর আর অদ্য পর্যন্ত ওই আইসোলেশনে কোন রোগী ভর্তি হয়নি। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালে ৭ সদস্যের একটি কমিটি আছে। ১৫ সদস্যের আরেকটি টিম কাজ করছে। আইসোলেশন পুরোপুরি প্রস্তুুত আছে। কোন সমস্যা নেই। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এখন পর্যন্ত এখানকার আইসোলেশনে কোন রোগী ভর্তি হয়নি।