সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ড্রেজারে মাঠের ফসলি জমির কেটে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে খালে পুকুরে ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নীচু জায়গায়। কৃষি কাজের পানি ব্যবহার হচ্ছে মাটি কাটায়। সমতল ভূমি থেকে ৩০-৪০ ফুট গভীর করা হচ্ছে জমি। ফলে আশপাশের অনেক ফসলি জমি হুমকির মুখে। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা এলাকায় সরাইল-তেরকান্দা সড়কের পাশের একাধিক ফসলি জমির মাঠ। মাঠের মাঝখানে কয়েক কানি জমির চারিদিকে উচুঁ করে বাঁধ দিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। কৃষি কাজের জন্য নির্ধারিত নিজের ইরি স্কীমের গভীর নলকূপের পানি দিয়ে ওই জমির মাটি নরম করছেন। পাশেই চলছে ড্রেজার। ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ৮-১০ ইঞ্চি প্রস্থের পাইপ দিয়ে মাটি বিক্রি করছেন ৪-৫ কিলোমিটার দূরে। ৭-৮ টাকা ফুট দরে বিক্রি করছেন মাটি। গত কয়েক মাস ধরে দিনে রাতে চলছে ওই ড্রেজার। ফলে ড্রেজারের বিকট শব্দে রাতে আশপাশের গ্রামের লোকজনের ব্যাঘাত ঘটছে। জমির লেবেল থেকে মাটি কেটে প্রায় ৩০-৪০ ফুট গভীরে চলে গেছেন। এ জমির আশপাশের ফসলি জমি গুলো যেকোন সময় নীচের দিকে ধেবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধেবে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে পাশের আরো অনেক জমি। ড্রেজার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোন পথ পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী কৃষকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক কৃষক বলেন, উনি তো মাটির ব্যবসা করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করে চলে যাবেন। আমাদের জমি গুলো নীচের দিকে ধেবে বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাব। ঘুরে ফিরে ফসলি মাঠের বিভিন্ন জমিতে এ ভাবে মাটি কাটছেন একটি চক্র। এই ব্যবসা চলতে থাকলে দ্রƒতই কমে যাবে ফসলি জমি। ড্রেজার ও জমির মালিক তৌহিদুর রহমান ফসলি জমির মাটি ৭ টাকা ফুট মূল্যে বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ভূমি সংশ্লিষ্ট এক জায়গায় ২০-২২ হাজার টাকা দিয়েছি। ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিল এমন ২-৩ জনকে কিছু দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, এভাবে ফসলি জমির মাটি কাঁটার কোন বিধান নেই। আমি খুঁজ খবর নিয়ে দেখছি।