পিরোজপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ পরিদর্শক ও ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (১৫মে) রাতে জেলার সদর উপজেলার কদমতলা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল সহ নাজিরপুরে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন কর্তৃক বোমা হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটানা ঘটেছে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার আহত কর্মীরা দাবী করছেন। হামলায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন তাদের হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার কদমতলা ইনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খান এবং একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. সোবাহান হোসেন ও এক পুলিশ সদস্য সহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতীক) মো. সিহাব হোসেন (৬০), তার কর্মী হাসান শেখ (২৮), হাফিজ শেখ (৩৫), সাঈদ শেখ (৩৭), ইয়াসিন মোল্লা (২৪), মো. আজমীর খান (২২), মো. ইয়াজুল শিকদার (১৮), মো. ইমাম শেখ (২১), শেখ মো. ফারুক (৪০), মো. শহিদুল ইসলাম (৫৫), মুনান শেখ (৩০) এ ১১জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অপর পক্ষের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান (৫০), তার সমর্থক তন্ময়, মুনান, মিজান সহ ৮ জন আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হায়াতুল ইসলাম খান জানান, পরিস্থিতি এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়ের রয়েছে। পিরোজপুর সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু ওই সংঘর্ষের খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টাকালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. সোবাহান হোসেন সহ এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আহত মো. আজমির খান জানান, ওই রাতের সোয়া ৮টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেন কদমতলা বাজার জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান। সেখান আমরা কিছু লোক তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খানের নেতৃত্বে ২৫/ ৩০ জন লোক আগ্নেয় অস্ত্র সহ হাতে দাও, লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর গুলিসহ বোমা হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় আমরা চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে চাইলে হামলাকারীরা আমাদের পথ আটকে বাধা দেয়। আহতদের তাই নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খান এ হামলায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে তিনি জানান, আমি ওই রাতে কদমতলা বাজারের থাকা ইউনিয়ন আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেনের নেতৃত্বে তার ২৫/৩০ জন কর্মীরা এসে আমি (হানিফ খান) সহ আমার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ৮ কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।