রংপুরের পীরগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এক দিনেই সম্পন্ন দেখিয়ে জায়েজ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কোন ধরনের প্রচারনা ছাড়াই এবং গনমাধ্যম কর্মির উপস্থিতি ব্যতিরেকেই ৭ দিনের কর্মসূচি এক দিনে মাত্র ২ ঘন্টায় শেষ করা হয়েছে। যে কারণে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের মুল উদ্দেশ্যই এ উপজেলায় ভেস্তে গেছে। জানা গেছে,গত ২৩ এপ্রিল হতে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৭দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের জন্য ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে আপ্যায়ন-৮ হাজার টাকা,ডেকোরেটর-৫ হাজার,ব্যানার-৩ হাজার,বিল বোর্ড-১০ হাজার,খাবার বাবদ-৯০ হাজার,স্বাস্থ্য সুরক্ষা-৭ হাজার ও জন সচেতনতার মাইকিং ৩ হাজার। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়,এসবের কোনটাই এখানে সম্পন্ন করা হয়নি। শুধুমাত্র ৫’শ টাকার ১ টি ব্যানার তৈরী করে বিল বোর্ড,মাইকিং না করে কোন ধরনের প্রচারনা ছাড়াই সন্তর্পণে মাত্র ২ ঘন্টায় সীমিত কয়েকজনকে নিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যম কর্মিসহ জনপ্রতিনিধি,স্থানীয় সুধী ,রাজনীতিক ইমাম মোয়াজ্জেম ,স্বাস্থ্যকর্মি,ডাক্তার নার্সদের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি বাধ্যতামুলক ছিল বলে জানা গেছে। একটি সুত্র জানায়,টানা ১৪ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা যিনি নিজ দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে সারাক্ষন এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকেন তিনি এবং বিশ বছর ধরে কর্মরত হিসাব রক্ষক এনামুল হক যৌথভাবে ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সম্পন্ন দেখিয়ে কর্মকর্তার নির্দেশে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সমুদয় বরাদ্দ উত্তোলন করেন। সুত্রটি আরও জানায়,জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের বিল ভাউচার গুলো এবং উপস্থিতির তালিকা যাচাই করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে সরেজমিন তদন্ত দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রুহুল আমীন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-আমার সুবিধা অনুযায়ী অনুষ্ঠান করেছি।