রাজশাহীর বাগমারায় বাড়িতে ঢুকে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে ও পানিভর্তি বোতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সংঘবদ্ধ নারীরা দুবৃর্ত্তদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাঁরা পালিয়ে যান। হামলায় আহতরা হলেন কমেশ আলী (৫৪), তাঁর ভাই সৈয়দ আলী (৪৫) ও ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত মামুনুর রশিদ সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিলশনি বিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের সভাপতি। ওই বিলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, রোববার বিকেলে নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন মামুনুর রশিদ। সন্ধ্যার পর একই এলাকার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ আকবর আলী, আবদুল খলিলসহ ৭-৮জন দুবৃর্ত্ত ধারাল অস্ত্রসহ তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তাঁরা বাড়িতে ঢুকেই মামুনুর রশিদকে ঘিরে ফেলেন। এ সময় তাঁরা অতর্কিতভাবে মামুনুর রশিদের মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তাঁদের কাছে থাকা পানিভর্তি কোমলপানীয়র বোতল দিয়ে পেটাতে থাকেন। তাঁর বাবা ও চাচা মামুনুর রশিদকে রক্ষা করতে আসেন। একই কায়দার দুবৃর্ত্তরা তাঁর বাবা ও চাচাকে কুপিয়ে এবং বোতল দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশি নারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাসস্থলে ছুটে আসলে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহত মামুনুর রশিদ জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য বিলশনি বিল ইজারা নিয়ে স্থানীয় সদস্যদের নিয়ে মাছচাষ করে আসছিলেন। তিনি ওই প্রকল্পের সভাপতি। তবে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। তাঁরা বিলের নিয়ন্ত্রণও নিতে চান। এজন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকাও লুট করে নিয়ে গেছেন।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের পক্ষের লোকজনের দাবি বিলের সদস্যরা মামুনুর রশিদের নেতৃত্ব মানতে চান না। অপর দিকে তিনি নেতৃত্ব ছাড়তে নারাজ। এনিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ বিষয়টি জেনেছে। আহতদের চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি, মামলা হলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিবে।