কুড়িগ্রামে আশংকাজনকভাবে বাড়ছে জ্বরবাহিত রোগীর আধিক্য। গত দুই মাসে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শুধুমাত্র টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ২১৪জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের অর্ধেকেই শিশু। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ করে জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশংকায় রয়েছে রোগীর স্বজনরা। তবে এ রোগে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সেফটি এক্সযোন শেষ হয়ে যাওয়ায় ওষুধ সংকটে রোগীরা অধিকমূল্যে বাইরে থেকে ইনজেকশন কিনতে বাধ্য হচ্ছে। গত ৩দিন থেকে সাপ্লাই নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে ১১৮জন টাইফয়েডের রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ২৯মাস থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ৩০জন, ৬ থেকে ১৪বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ২২জন। এ ছাড়া বয়স্ক নারী ৩৭জন ও বয়ষ্ক পুরুষ ২৭জন। চলতি মাসের ১৬ মে পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছে ৯৬জন। এদের মধ্যে এরমধ্যে ২৯মাস থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ২৬জন, ৬ থেকে ১৪বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ২৫জন। এ ছাড়া বয়স্ক নারী ২৭জন ও বয়ষ্ক পুরুষ ১৮জন।
জ্বরের বিষয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু জানান, বর্তমানে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার রোগী বৃদ্ধি যাচ্ছে। করোনাকালিন সময়ে পরিবারের লোকজন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে আতঙ্কে রয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ প্রদান করা হলে নগরবাসীর জন্য ভাল হত।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, বেশিরভাগ রোগী সিজেনাল ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও তুলনামুলকভাবে টাইফয়েড রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।