আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ: সঠিক কর্ম পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়া অগ্রগামী সৈনিক, অধম্য পথচলা সাহসী, সৎ, কর্ম দক্ষতায় অনুকরনীয় সাফল্য গাঁথা জীবনের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউপি চেয়ারম্যান সফল খামারী মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা। তিনি চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিগত ২০১৯ সালের প্রথম দিকে “রেজিয়া ডেইরী ফামর্” গড়ে তোলে ৪টি গরু পালন শুরু করেন। পাশাপাশি নিজ গ্রাম পাঁচধায় ১৪০ কাটা নিজস্ব জমিতে ফিসারী ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। সেই থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার গরু খামারে ১২টি ষাড় গরু ও ২ টি গাভী রয়েছে। মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা প্রতি বছরই ঈদুল আযহার পূর্বে নিজেদের খামারে পালন করা বিভিন্ন প্রজাতির ষাড় গরু বিক্রি করে আয় করে থাকেন। বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ খামারে পালন করা গরু বিক্রি করে এখন সফল ব্যবসায়ীদের একজন মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা।
খামার মালিক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে নিজ বাড়ির পাশে “রেজিয়া ডেইরী ফামর্” নামে আধা পাকা টিনসেট ঘরের খামারে গরু পালন শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন তার খামারে কাঁচাঘাস ও খরকুটো ছাড়াও গরুর খাদ্য বাবদ আরো ২/৩ হাজার টাকা খরচ হয়। খামার পরিচালনায় নিজ শ্রমের পাশাপাশি ১জন মাসিক বেতনে অন্যজন তার ভাতিজা এ খামারে শ্রম দিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে কুরবানীর জন্য গরু কিনে জবাই করতে গিয়ে দেখা গেলো পানিতে ভরপুর। তাই নিজেই উদ্যোগী হই খামার প্রতিষ্ঠায়। একদিকে আমার কুরবানীর গরু কিনতে হচ্ছে না। অন্যদিকে নিজের তদারকিতে গরু লালন পালন করার তৃপ্তিই অন্যরকম। সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোশকতা পেলে দীর্ঘ প্রজেক্ট নিয়ে আরো ব্যাপক আকারে খামার গড়ে তুলে সফল ভাবে ব্যবসা করতে পারব। চেয়ারম্যান মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞার খামার দেখে আশপাশের এলাকার মানুষ এখন গরু পালনে উদ্যোগ নিয়েছে।
খামারে কর্মরত শ্রমিক বলেন, আমাদের খামারের গরুর খাবারের জন্য দেশীয় কাঁচাঘাস ও খরকুটো ছাড়াও অন্যান্য সব খাবার ভেজাল মুক্ত অবস্থায় নিজ হাতে তৈরি করি। এলাকাতে আমাদের খামারের গরুর আলাদা কদর রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার খাইয়ে গরু মোটা তাজা করেছি। আসছে ঈদুল আযহায় কোরবানীর জন্য স্থানীয় এলাকার গরু ক্রেতারা প্রতিদিনই আসতেছে আমাদের খামারে গরু দেখার জন্য। ১৪টি গরু ৯ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। আশা করা যায় লাভবান হবো। ইতোমধ্যে ৪টি ষাড়ের দাম ২ লাখ টাকা করে দাম হাকা হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মাইজখাপনের পাঁচধায় নিজ বাড়ির সামনে মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা গরুর খামারে গরু মোটাতাজা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও নিজের খামারে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, ফিসারী ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তার এ সফলতা দেখে এলাকার অনেকই গরু পালন করে ও ফিসারী ব্যবসায় নিজেদেরকে সাবলম্বী করার চেষ্টা করছে।