আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত ভিজিএফএর টাকা বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ মে টাকা বিতরণের দিন ১৪৬ জনের টাকা বিতরণ না করে পরদিন তার বাড়ি থেকে দেওয়া হবে ঘোষণা দিলেও এ পর্যন্ত তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে।
খাজরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ৪৭৫ জনের নামে প্রত্যেককে ৪৫০ টাকা করে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি সদস্য আরব আলী প্রথম দিন (১০ মে) খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তালিকা ভুক্তদের মাঝে টাকা বিতরণ শুরু করেন। দিন শেষে ৩২৯ জনকে ৪৫০ টাকা করে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০ টাকা বিতরণের পর ঐদিনের বিতরণ কাজ শেষ করেন। এ সময় ঘোষণা দেওয়া হয় বাকীদের টাকা পরদিন মেম্বারের বাসা থেকে বিতরণ করা হবে। পরদিন তালিকাভুক্তরা মেম্বারের বাড়িতে গেলে টাকা না পেয়ে বিফল মনরথ হয়ে পাশে গদাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে অন্য ওয়ার্ডের টাকা বিতরণের স্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। টাকা না পেয়ে হুলস্থূল অবস্থার সৃষ্টি হয়। মেম্বার টাকা দেয়নি জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে নিজের পকেটের টাকা বের করে প্রত্যেককে তাৎক্ষণিৎ উপকারের লক্ষ্যে প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে বিতরণের ব্যবস্থা করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, তালিকাভুক্ত ১৪৬ জনের ৪৫০ টাকা করে ৬৫ হাজার ৭০০ টাকা গায়েব করা হয়েছে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আরব আলি বলেন, তিনি ৩২৯ জনের টাকা বিতরণ করেছেন। কোন অনিয়ম করেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিম বলেন, আমি এবারের ঈদে ১০ কেজি চাউলের পরিবর্তে হত দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রির দেওয়া ৪৫০ টাকা করে ৫ হাজার ৮০০ জনের টাকা পেয়েছি। আনুপাতিক হারে সকল ওয়ার্ডে বন্টন করে দিয়েছি। ৫নং ওয়ার্ডে কিছু ব্যক্তির অনিয়ম করা হয়েছে এটা আমি তাদেরকে প্রাথমিকভাবে নিজ তহবিল থেকে দিয়ে আশ্বস্থ করেছি। ঈদের পর আমি তাদের সমুদয় টাকা বুঝে দিব। তিনি আরও বলেন কে দিল আর কে নিল এটা আমার আসে যায় না। জনগণের মনে কষ্ট দিয়ে বেশীদূর পৌছানো যায় না।