আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামে ভোগদখলীয় জমির সীমানা প্রাচীর নির্মান কালে বাধা ও নির্মানাধীন প্রচীর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোদাড়া গ্রামের কেরামত আলি সরদারের পুত্র আমান উল্লাহ তার পিতাসহ (পিতার বয়স ৯১ বছর) দীর্ঘ ৮০/৮৫ বছর ভোগদথলীয় জমিতে ২৫/৩০ বছর প্রাচীর দিয়ে পাকা ঘর বেধে ভোগ দখল করে আসছেন। প্রতিপক্ষ পিছনে তাদের জমি ও প্রাচীরের বাইরে দিয়ে যাতয়াতের পথ থাকলেও সম্প্রতি তাদের পাকা প্রাচীরের মধ্যে জমি নেবে এমন ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এনিয়ে মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধ পিতাকেও তারা চরম ভাবে অপমান অপদস্তসহ আমানদের নানাভাবে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী ও চাঁদা দাবী করে আসছিল। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ ও সর্বশেষ ৫ মে লিখিত ইৎহাজার দাখিল করেন তিনি। তারা তার একটি মাছের ঘেরের বাঁধ কেটে খালের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। ঘেরের দায়িত্ব থাকা ছোহরাব হোসেনকে ১৮ মে রাতে মুজিবর, মোমিনসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঁনাস্থানে পৌছে তাকে উদ্ধার করের এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তির করা হয়। আমান উল্লাহ বুধবার (১৯ মে) তার ভিটেবাড়িতে প্রাচীরের ভিতরে অপর প্রান্তের সীমানা দিয়ে ইটের সীমানা প্রচীর নির্মানের কাজ করাচ্ছিলেন। এসময় আলতাফের স্ত্রী, রেজাউলের স্ত্রী, মোমিনের স্ত্রী, মুজিবরের স্ত্রী, আজিজুলের স্ত্রী, আহছানের স্ত্রী, মিজানের স্ত্রীসহ ১৫/২০ জন কাজে বাধা দেয়। আমানের স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকে মারপিট করে ইটের গাঁথনির একটি অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়। অসহায় আমান উল্লাহর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এব্যাপারে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।