প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কলারোয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন-কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, প্রেস ক্লাব সভাপতি মাস্টার দীপক শেঠ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রাশেদুল হাসান কামরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, এ্যাড. কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবিব, এ্যাড. শেখ কামাল রেজা, কলারোয়া নিউজের সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, রিপোর্টাস ক্লাবের সহ.সভাপতি শেখ জাকির হোসেন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাক আহম্মেদ, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলাম, পত্রদূত পত্রিকার আইয়ুব হোসেন, সাংবাদিক শিক্ষক শেখ শাহাজান আলী শাহিন, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম লিটন, দৈনিক নতুন সূর্য’র সম্পাদক আরিফুল হক চৌধুরী, দৈনিক লোকসমাজের প্রতিনিধি শামসুর রহমান লাল্টু, দৈনিক কাফেলার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, দৈনিক গ্রামের কাগজের মোস্তফা হোসেন বাবলু, সাংবাদিক এম কাশেম, তাজউদ্দিন আহম্মেদ রিপন, আতাউর রহমান, এসএম ফারুক, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফারুক রাজ, মোজাফ্ফার হোসেন পলাশ, সেলিম রেজা, নাজমুল হোসেন, রেজাউল্লাহ, সুজাউল হক, সাইফুল ইসলাম, শেখ রাজু রাহান প্রমুখ। মানববন্ধনে কলারোয়ার সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘রোজিনা ইসলামকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা যেভাবে হেনস্তা করেছে, আমাদের মনে হয়- তারা আমাদের গোটা সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তির দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা সচিবালয়ের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা মানে স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা। রোজিনা ইসলামের হাতে হাতকড়া মানে সংবাদ মাধ্যমকে শিকল পরানো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমবান্ধব। তাঁরা গণমাধ্যমকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। রোজিনা ইসলামকে যারা হেনস্তা করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তাই যথেষ্ট। প্রশাসনের অভ্যন্তরে থাকা অতি-উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার রোষানলে পড়েছে সাংবাদিকরা। তাদের লুটপাটের তথ্য যখন আমরা সংগ্রহ করতে যাই, তখন নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিভাবে হেনস্তা হয়েছে, তা সারা দেশ দেখেছে। তাই অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কলারোয়াসহ সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুঁশিয়ারি করেন বক্তারা। এছাড়া মানববন্ধনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।