দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দিকপাল রোজিনা ইসলামের বিরূদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ৬ ঘন্টা আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনে জড়িত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল প্রেসক্লাব। বৃহস্পতিবার সকালে প্রেসক্লাব সংলগ্ন শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও সাংবাদিক হিতৈষী লোকজন। ঘন্টা ব্যাপি স্থায়ী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও ত্রিতাল সঙ্গীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় আজীবন সদস্য ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, দৈনিক ইত্তেফাকের সরাইল সংবাদদাতা ও প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জুলকার নাঈন, দৈনিক সংবাদের সরাইল প্রতিনিধি ও যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কামরূজ্জামান, দৈনিক মানবকন্ঠের সরাইল প্রতিনিধি ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ইব্রাহিম, দৈনিক ভোরের কাগজের সরাইল প্রতিনিধি ও সাহিত্য সম্পাদক মো. জহিরূল ইসলাম রিপন, বিজয় টিভির সরাইল প্রতিনিধি দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, দৈনিক প্রথম আলোর সরাইল প্রতিনিধি মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, সাংবাদিক মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. শাহাগীর মৃধা, মো. জাকির হোসাইন, ফকির হাকিম ও আবদুল মোমিন। বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দূর্নীতির ধারাবাহিক প্রতিবেদন করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধের উদ্যেশ্যে সাংবাদিক রোজিনাকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে শাররীক নির্যাতন করেছেন যুগ্ম সচিব জেবুন্নেছার নেতৃত্বে সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারিরা। তারা গণতন্ত্রের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হত্যার উদ্যেশ্যে রোজিনার গলায় চেপে ধরা হয়েছে। পরে রোজিনার বিরূদ্ধে দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। সরকার যখন দেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুবিধার কথা ভাবছেন ঠিক সেই সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এহেন নেক্কারজনক কর্মকা- সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করারই গভীর ষড়যন্ত্র। আর এ ষড়যন্ত্রকে সফল করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালিক, সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া ও যুগ্ম সচিব কাজী জেবুন্নেছা রোজিনাকে হত্যার চেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি করেছেন। অবৈধ পন্থায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে রোজিনার বিরূদ্ধে সাজানো অভিযোগ প্রচার করছেন। অথচ এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। রাজাকারের কতিপয় উত্তরসূরি সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ব্যার্থ চেষ্টা করছেন। রোজিনার বিরূদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্যাতনে জড়িত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানিয়েছেন বক্তারা।