জেলার নাসিরনগর থানা পুলিশ অটোরিক্সা চালক হাবিবুর রহমান (১৫) হত্যার মামলার ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও মামলার আইও নাসিরনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নিজে কিন্তু চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা এস,আই আরিফুর রহমান সরকার অল্প সময়ের মাঝে দ্রুততার সাথে সংগীয় ফোর্স নিয়ে আসামি গ্রেপ্তার,ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সা ও মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
০৯ মে ২০২১ কুন্ডা ইউনিয়নের বেড়ী বাঁধ সংলগ্ন ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক অটোরিক্সা চালক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার হত্যাকান্ডোর সংগে জড়িত দুই মূল আসামি সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা, মুঠো ফোন ও হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র। গ্রেপতারকৃতরা হলেন নাসিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের কালাম মিয়া, রহুল আমীন ছাড়াও রাফি উদ্দিন শিবলী, আনোয়ার হোসেন শুভ ও মঙ্গল মিয়া নামে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
আসামীরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিরনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক বলেন, ৬ মে দুই আসামি কালাম ও নুরুল আমীনকে নাসিরনগর কলেজ মোড় থেকে কুন্ডা বেড়ী বাঁধে যাওয়ার কথা বলে হাবিবুরের অটোরিক্সা ৪০০ টাকা ভাড়া করে। সেখানে গিয়ে তারা ছবি তোলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে আসামিরা হাবিবুরকে গোকর্ণ বেড়ী বাঁধে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে নিয়ে হাবিবুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে কন্ঠ নালী ছিদ্র করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।