বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বেলুহার গ্রামে স্বামীকে ফাঁসিয়ে দিতে নিজের গর্ভের ৫ মাস বয়সের ভ্রুণ হত্যা করে বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে এক পাষন্ড স্ত্রী। খবরপেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ। বুধবার (১৯ মে) প্লাস্টিকের কৌটায় ভিতরে ভ্রুণটি ফ্রিজে দেখে দিয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর পূর্বে বেলুহার গ্রামের সিরাজ ভূঁইয়ার কন্যা সুমাইয়া আক্তারের সাথে গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রাম এলাকার সাত্তার ঘরামীর পুত্র জামাল ঘরামীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। অতিসম্প্রতি তাদের দাম্পত্য কলহের কারণে অন্তঃস্বত্তা সুমাইয়া তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
সুমাইয়া আক্তার (২২) জানান, বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিজ গর্ভের সন্তানের ভ্রুণ নষ্ট করার পর মৃত অবস্থায় সে ওই ভ্রুণ প্রসব করে। পরবর্তীতে ভ্রুনটি একটি প্লাস্টিকের কৌটার মধ্যে রেখে পাশের বাড়ির আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার ফ্রিজে রাখে সুমাইয়া।
এ ব্যাপারে আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার কন্যা জানায়, বুধবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় ফ্রিজ পরিস্কার করতে গিয়ে প্লাস্টিকের কৌটা খুলে ভিতরে ভ্রুণ দেখতে পায়। ওই কৌটাটি আমাদের ফ্রিজে রেখেছিলো সুমাইয়া আক্তার।
অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার জানান, বর্তমানে আমার স্বামী আমাকে ভরন-পোষন না দেওয়ার কারণে আমি আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছি। এরপর ওই ভ্রুণটিকে আমি আদালতে হাজির করার উদ্দেশ্যে পাশের বাড়ির আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার ফ্রিজে রেখেছিলাম।
নাম প্রকাশে অনিছুক এলাকাবাসী জানান, গর্ভের সন্তান বা ভ্রুণ নষ্ট করা আইনত অপরাধ। তারপরেও স্বামীকে ফাঁসাতে সেই ভ্রুণ অন্যের ফ্রিজে রেখে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে ওই নারী। এমনকি বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কৌশলে ওই প্লাস্টিকের কৌটাটি গায়েব করে ফেলেছে সুমাইয়া আক্তার এক অভিযোগ রয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েতদন্ত করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।