কথা ছিল ঈদুল ফিতরের পরই এসএসসি পরীক্ষার্থীনির সাথে প্রেমিকের বিয়ে হবে। তাই ঈদের পরদিন থেকে প্রেমিক ফরহাদ হোসেন সুমনের নিজ ঘরে ৭ দিন ধরে অপেক্ষায় বসে আছেন ওই পরীক্ষার্থীনি। এদিকে প্রেমিকা বাড়ীতে আসার খবর শুনে পালিয়ে গেছে ফরহাদ। উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের গন্ধর্ববপুর (খামারপাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকাবাসী ও প্রেমিকার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গন্ধর্ববপুর (খামারপাড়া) গ্রামের লোকমান মিয়ার মেয়ে এবারে এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে ৭ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় তার (প্রেমিকা) সাথে আপন জ্যাঠাতো ভাই ফরহাদ হোসেন সুমন (২১) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেম ও পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় ওই পরীক্ষার্থীনির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে ফরহাদ। ফরহাদ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তখন থেকেই ৩ বছর ধরে অনৈতিক কর্মকা- করে আসছে বলে প্রেমিকা জানায়। সে আরও জানায়,ফরহাদ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরী করে। সে ছুটিতে এলেই আমরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরতাম। কয়েক মাস ধরে তাকে আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি ফরহাদের বোন ও দুলাভাইকে আমাদের প্রেমের বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে ঈদের পর ফরহাদের বাড়িতে আসতে বলে এবং বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। আমি ঈদের পর দিন শনিবার থেকে ৭ দিন ধরে বিয়ের জন্য অপেক্ষায় আছি। কিন্তু ফরহাদ নেই। ফরহাদের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ছেলে গার্মেন্টস কর্মী। সে তো ঢাকায় চাকরী করে। কখন ওদের (চাচাতো-জ্যাটাতো ভাই-বোন) ভালবাসার সম্পর্ক হলো। তা আমি জানি না। তবে যেহেতু বিষয়টি আমাদের পারিবারিক। আমরা তা সমাধান করে নিবো। পরীক্ষার্থীনির বাবা লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গ্রামে মুখ দেখানো সমস্যা হয়েছে। মানুষজন নানান কথা বলছে। আমি আমার মেয়েকে ফরহাদের সাথে বিয়ে দিতে চাই। কিন্তু এখনো সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল বলেন, আমি লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। ছেলে বা মেয়ে পক্ষের কেউ আমাকে এখনও বিষয়টি জানায়নি।