বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ পুরনো মডেলের দু’টি (বোয়িং ৭৩৭) লিজ উড়োজাহাজ পরিচালনা নিয়ে বিপাকে রয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে করণীয় নির্ধারণে বিমান পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে প্রায় এক যুগ আগের পুরনো মডেলের দু’টি লিজ বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ লিজ কোম্পানির কাছে ফেরত দিতে। এখন কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় ওই উড়োজাহাজ ফেরত দেয়া যেতে পারে কিংবা ফেরত না দিয়েও এয়ারক্রাফট দু’টি বহরে রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়টি বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার জন্য এক নম্বর এজেন্ডায় ছিল। এখন একমাত্র বিমান পরিচালনা পর্ষদেরই ওই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ বিমান বহর এক যুগেরও বেশি সময় ধরে (বোয়িং-৭৩৭) লিজ এয়ারক্র্যাফট দিয়ে মধ্যেপ্রাচ্যে ছাড়াও চায়নার কেনটনে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর একটি হচ্ছে এসটুএএফএম এবং অপরটির সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে এএফএল। পুরনো মডেলের ওই দুু’টি এয়াক্র্যাফটের এখন বিমান কর্তৃপক্ষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর কিছু দিন পর ওই দু’টি এয়ারক্র্যাফটকে অন্যান্য দেশে ঢুকতে না দেয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র জানায়, উড়োজাহাজের নতুন ভার্সনে অনেক নতুন নতুন ইকুইপমেন্ট যোগ হয়েছে। যা লিজ নেয়া পুরনো ওই এয়ারক্র্যাফটগুলোতে নেই। যেমন টিকাস (টিসিএএস)। এর অর্থ হচ্ছে ট্র্যাফিক কলিশন এভয়েডিং সিস্টেম। আকাশে যখন দুু’টি এয়ারক্র্যাফট চলার সময় কাছাকাছি চলে আসে তখন ওদের ভেতরে একটি সিগন্যাল দেয়। নতুন এয়ারক্র্যাফটে এমন অনেক ইকুপমেন্ট আছে। তবে ওসব না হলেও যে উড়োজাহাজ চলতে পারবে না তা কিন্তু নয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে উড়োজাহাজে ওসব ইকুইপমেন্ট থাকা খুব জরুরি। এমন কিছু ইকুইপমেন্ট বোয়িং-৭৩৭ লিজ উড়োজাহাজে নেই। আর লিজ নেয়া উড়োজাহাজ যদি ফেরত দেয়ার সিস্টেম না থাকে তাহলে ম্যানেজমেন্ট পরে সেগুলো দিয়ে দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। তা সম্পূর্ণই ম্যানেজমেন্টের বিষয়। লিজ আনা এয়ারক্র্যাফট দুু’টি আয়ারল্যান্ড বেইজড কোম্পানি থেকে আনা হয়েছে। তার অফিস সিঙ্গাপুর ছাড়া সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছে। ওই এয়ারক্র্যাফট দুু’টি ফেরতের অনেকগুলো অপশন আছে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, লিজে আনা উড়োজাহাজ নিয়ে বিমানের একাধিক সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আর এয়ারক্র্যাফট দু’টি পুরনো হওয়ায় আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের মেয়াদও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।