বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় বোরো ধান কাটতে এবং মাড়াই করে ঘরে তুলতে মরিয়া হয়ে পরেছে কৃষকরা। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। লক্ষ্য মাত্রা চেয়ে বেশি ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। কৃষকের ধান ঘরে তুলতে শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি বাঁধ সাধলেও থেমে নেই কৃষকেরা। ধান কাটা শেষে মাড়াই করতে ব্যস্ত এখন কৃষকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলায় শনিবার পর্যন্ত ৮৯ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ধান কাটতে বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। আগামী অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকরা তাদের বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খানুপর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের বোরো ধান চাষী নাজির উদ্দিন জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। দামও অনেক ভাল। ধান কাটা শ্রমিকের কিছুটা সংকট থাকলেও হারফেস্টার মেশিন থাকায় অল্প খরচে ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। এখন ধান মাড়াই করতে ব্যস্ত আছি। এবার সর্বনি¤œ ধানের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মন বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার বিশালপুর গ্রামের বোরো চাষী মোখলেছুর রহমান ও নির্মল, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাগরপুর গ্রামের চাষী কাশেম আলী, মির্জাপুর গ্রামের চাষী মকবুল, কুসুম্বি ইউনিয়নের মালিয়াটা গ্রামের প্রান্তিক চাষী মনির হোসেন বলেন, এবার আল্লাহর রহমতে আশানুরূপ ধান পেয়েছি। শ্রমিক সংকটের মুখেও পড়লেও কোন সমস্যা হয়নি।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আকতার বলেন, এ বছর ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র পূর্ণ হওয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় এবার কিছুটা শ্রমিক সংকট থাকলেও ধান কাটতে মাঠে ছিল সরকারের ভর্তুতি মূল্যে কম্পাইন্ড হারভেষ্টার মেশিন। তাই অল্প খরচে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পেরেছে।