নীলফামারীর সৈয়দপুরে একই রাতে পৃথক পৃথক স্থানে ৮ গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২১ মে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ওই স্থানগুলোতে গরু চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানায় চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা। জানা যায় ওইদিন রাতে সৈয়দপুরে দমকা হাওয়ার সাথে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন ছিলো। এ সুযোগে গরু চোররা উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ ফকিরপাড়ার একরামুল হকের ৩টি গাভী গরু চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি জানান, বাড়ির বাইরের ও গোয়াল ঘরের লক কেটে ওই গরু ৩টি চোরেরা নিয়ে যায়। আমি রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় ঘুম থেকে ওঠে বাইরে বের হলে গোয়াল ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে চুরির বিষয়টি জানতে পারি। গরু চুরির বিষয়টি আমি এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার মমিনুল হককে অবহিত করেছি। চুরি যাওয়া ৩টি গাভীন গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লাখ টাকা হবে বলে জানানো হয়। অপরপাশে একই রাতে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়ায় আতিয়ার রহমানের ২টি গাভী গরু চুরি যায়। তিনিও জানান গোয়াল ঘেরের চেইন কেটে চোরেরা গরু নিয়ে গেছে। তিনিও বিষয়টি ওয়ার্ড মেম্বার আবু সাঈদকে অবহিত করেন। তার ২টি গরুর বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা হবে বলে দাবি করেন। এদিকে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন সংলগ্ন সোনারায় ঘোনপাড়ার সতিশ চন্দ্র রায়ের ৩টি গরু চুরি যায় একই সময়। তবে চোরেরা তার গরু ৩টি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কেন যেন পাশের বাশঝাড়ে বেঁধে রেখে তারা সটকে পড়ে। ফজরের নামাজের সময় মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে এসে পাশের বাশঝাড়ে গরু বাধা দেখতে পায়। পরে এলাকার মেম্বারের মাধ্যমে গরুগুলো উদ্ধার করে সতিশ চন্দ্র রায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। গরু চুরির বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে পুলিশ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।