পুঠিয়ায় বিড়ালদহ কলেজ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ডের এক লাখ টাকা গায়েব করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কলেজ সভাপতি ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কলেজ সভাপতি ডা. মোজাফ্ফর আহমেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি এলাকার বাহিরে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছি। বিগত দিনে নিয়মিত কলেজের সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতাম। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে কলেজের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। সে সুযোগে আমার জাল স্বাক্ষর করে কলেজ ফান্ড থেকে প্রায় এক লাখ টাকা উঠানো হয়েছে। গত ১৫ মে কলেজের মত বিনিময় সভায় বিষয়টি আমি জানতে পাড়ি। এ ঘটনা তদন্ত করতে প্রতিষ্ঠানের ৭ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও হিসাব রক্ষক আবদুল বারী মিলে গোপনে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করেছেন। এরপর তারা তিনটি চেকের ম্যাধমে সোনালী ব্যাংক পুঠিয়া শাখা থেকে প্রায় এক লাখ টাকা উঠায়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তারা দু’জন মিলে প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ফান্ডের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষক জালসই করে এঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তিনি ইতোমধ্যে ফান্ডে কিছু টাকা জমা করেছেন।
এ বিষয়ে কলেজের হিসাব রক্ষক আবদুল বারী বলেন, জালসই করে কলেজ ফান্ডের টাকা গায়েব ঘটনায় আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। আশা করি তদন্ত কমিটি অর্থ লোপাটের সঠিক তথ্য প্রকাশ করবেন।