বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ি এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে তন্দ্রা ভৌমিক (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সান্তাহার টাউন ফাঁড়ির পুলিশ। তন্দ্রা ভৌমিক সান্তাহার শহীদ আহসানুল হক কলেজের গ্রন্থগারিক উত্তম ভৌমিকের মেয়ে এবং সান্তাহার হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে বাবা নেটের সংযোগ বন্ধ করে দেন এবং সকালে তন্দ্রাকে বাবা মেয়েকে শাসন করেন। পরে দুপুরে খাবার সময় হলে মা তাঁকে ডাকতে গেলে পড়ার ঘরে ফ্যানের সাথে তন্দ্রার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। বিষয়টি সান্তাহার টাউন পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তন্দ্রার লাশ উদ্ধার করে।
সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁিড়র পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ সৎকারের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
আদমদীঘিতে জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযান আটক ৪
এফএনএস (সাগর খান; আদমদীঘি, বগুড়া) :
বগুড়ার আদমদীঘিতে জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৪ জুয়ারিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টায় উপজেলার কুন্দগ্রামের কড়ই বাজার এলাকায় পুকুর পাড়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলার সময় তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের কড়ই বাজার এলাকায় শ্মশান ঘাটের পুকুর পাড়ে ১০/১৫ জন জুয়ারিরা জুয়ার আসর বসিয়ে জুয়া খেলছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে থানার উপপরিদর্শক ফজলু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জুয়ারীকে আটক করেন। এ সময় অন্যরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই জুয়ার আসর থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। আটককৃতরা হলো উপজেলার বশিকোড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে মনসুর আলী (৪৫), মৃত আফসার প্রামানিকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২), হলুদ ঘর গ্রামের মৃত হামিদ আকন্দের ছেলে আবদুর রহমান (৬৫) ও কড়ই গ্রামের বুলু প্রামানিকের ছেলে হান্নান (৩০)।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, গ্রেফতারকৃত৪ জুয়ারিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।