নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরে অটো রাইস মিলের দূষিত বর্জ্যরে দূর্গন্ধে এবং শব্দ দূষনে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগেও একাধিক বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে জানান স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবদুস ছাত্তার শাহ বাস্স্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোমেটিক রাইস মিল স্থাপন করেছেন। ওই মিলের বিষাক্ত দূর্গন্ধযুক্ত পানি নিস্কাশনের জন্য মিলের উত্তর দিকে বাহাদুরপুর-চকমুনু ডওরে ছেরে দেয়ার জন্য ড্রেন নির্মান কাজ শুরু করেছেন। মিল স্থাপনের পর থেকে দূষিত বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে চকমুনু,বাহাদুরপুর ও হেলিপ্যাড এলাকার লোকজন চলা চল করতে পারছেনা। এ ছাড়া দূর্গন্ধের কারণে অত্র এলাকায় পরিবেশ ও জনবসতি হুমকির মূখে পরেছে। ফলে বসবাস করা অনুপযোগি হয়ে পরেছে। এ ছাড়া পার্শ্ববতি বাড়ীতে মিলের জেনারেটোর চালু করলে বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পরে এলাকার লোকজন। এ বিষয়ে বারবার মিল মালিককে জানালেও কোন কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে প্রতিকার চেয়ে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ কারী ওই এলাকার মোস্তাক আহম্মেদ,নয়ন হোসেন,সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জানান,মিলের বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে এবং জেনারেটোরের বিকট শব্দে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি। জনবসতিপূর্ন এলাকায় এভাবে মিলের দূষিত বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি খোলা জায়গায় ছেরে দিতে পারেননা। আমরা মিল মালিককে হাউজ করে সেখানে পানি রাখার জন্য বার বার অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি শুনছেননা। এ ব্যাপারে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। আবারো লিখিত অভিযোগ করলাম। আসা করছি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ঠরা সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিবেন।
মিল মালিক আবদুস ছাত্তার শাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কতিপয় লোকজন এর আগেও লিখিত অভিযোগ করেছিল, কিন্তু তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। কিছু লোকজন আমাকে হয়রানী করার জন্য প্রতিহিংসা বসত: বার বার মিথ্যে অভিযোগ করছেন। আমি নিয়ম মেনেই মিল পরিচালনা করছি।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখে সুষ্ঠু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।