পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার পাড়েরহাট ভূমি অফিস প্রাঙ্গনের কমপক্ষে ২৫টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গাছগুলো কাটার পর সেগুলো পাড়েরহাটের একটি স’মিলে নিয়ে গত দুই দিন ধরে চেরাই করা হয়েছে। ছয়টি গাছের টেন্ডারের বিপরীতে প্রায় ৫ গুন গাছ বেশি কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক দিন আগে পাড়েরহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহসীন হাওলাদার বর্তমানে সরকারের দখলে থাকা রাজবাড়ীতে অবস্থিত ভূমি অফিস প্রাঙ্গনের ৩০-৪০ বছর বয়সীসহ কমপক্ষে ২৫টি গাছ কেটে সেগুলো স্থানীয় একটি স’মিলে নিয়ে যান। গাছগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য প্রতিটির গায়ে ‘টি’ লেখা রয়েছে। তবে মহসিন দাবি করেন তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে ২২ হাজার টাকায় ৬টি গাছ কিনেছেন। এ ছাড়া ইউএনও’র নির্দেশে আরও দুইটি গাছ কাটা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পানগুচি নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা ছৌলা বনে তৈরিকৃত একটি পার্কের উন্নয়নের জন্য এ কাঠগুলো ব্যবহার করা হবে। এজন্য ইউএনও মহসিনের কাছ থেকে পুনরায় গাছগুলো কিনেছেন বলে জানান মহসিন। স্থানীয়রা জানান, বিনা প্রয়োজনে পাড়েরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস প্রাঙ্গনের গাছগুলো কাটা হয়েছে। এজন্য কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে ইউএনও হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, পাড়েরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উন্নয়নের জন্য যথাযথ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছয়টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে। এর বেশি গাছ কাটার কোনো সুযোগ নাই। টেন্ডার হয়ে দিনে, আর গাছ কাটা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। তাই এখানে অন্য কোনো উপায়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া ইউপি সদস্য মহসিন হাওলাদার এর বক্তব্যের বিষয়ে ইউএনও বলেন, তার বক্তব্য সঠিক নয়।