ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র ভয়াবহতা থেকে উপকূলের মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩১৬টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৭৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই সাইক্লোন শেল্টারসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গৃহপালিত পশুসহ সকলকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে দশ উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, বরিশালের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সকল এলাকায় সতর্ককতামূলক মাইকিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, জেলায় মোট ৩১৬টি বিশেষায়িত সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মতো জেলায় ৭৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাকা ভবন রয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ লাখ ৪২ হাজার মানুষ এবং প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানার খবরে ওইসব সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাথরুম-টয়লেট ব্যবহার উপযোগী এবং সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা, বিদ্যুত না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে স্থানীয় জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য জেলায় ৮৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে যোগযোগ করা হচ্ছে। সরকারের যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।