ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠছে কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগর। মঙ্গলবার ভোরে সাগরে জোয়ারের পানির ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যায়। সেই সাথে বেড়ে গেছে বাতাসের গতিবেগ। তবে সাগরে মাছ শিকার ৬৫ দিন বন্ধ থাকায় গভীর সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরা ট্রলার দেখা যায় নি। এদিকে সকালের জোয়ারে কুয়াকাটা সৈকতের অর্ধশতাধিক ঝিনুক,শুটকি ও মাছ ফ্রাইয়ের দোকান ছাড়া, সৈকতের ট্যুরিষ্ট পুলিশ ক্যাম্প ও পৌরসভার পাবলিক টয়লেট ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে বলে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান।
কুয়াকাটা সৈকতের জিড়োপয়েন্টের ভাঙ্গন প্রটেকশনের ব্যবস্থা নিলেও আজ ভোরে সাগরের জোয়ারের পানি নন ওবেন টিউবের বালুর বস্তা উপচে ঢেউয়ের পানি সড়কের পাশে চলে আসে। এ কারণে সৈকতের সকল অস্থায়ী দোকান ও মালামাল সরিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত আম্পানে এসব ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছিলো।
এদিকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় এবারও হুমকিতে রয়েছে কুডাকাটার হৃদস্পন্দন হিসেবে পরিচিত লেম্বুরবন, ঝাউ বাগান ও গঙ্গামতি বনাঞ্চল। আজ ভোরের জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এ তিনটি বনাঞ্চলের মধ্যেই পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে শতশত গাছ উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কলাপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস থাকলেও সাগরে ও নদীতে পানির উচ্চতা কত সেঃমিঃ বেড়েছে তা জানাতে পারেনি কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
একই সাথে সোমবার রাত থেকে কলাপাড়ায় থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠছে মানুষ। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে বনাঞ্চলনহ গঙ্গামতি সমুদ্র সৈকত প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে বেড়িবাঁধ না থাকায় ধুলাসার ইউনিয়নের গঙ্গামতি সৈকতসহ, চর গঙ্গামতি, কাউয়ার চর ও চর ধুলাসার গ্রামের পাঁচ শতাধিক বসত ঘর ও শতাধিক মাছের ঘের ডুবে গেছে। ঝড়ের তোড়ে ভেঙ্গে গেছে তিনটি বসত ঘর। ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো'র প্রভাবে মঙ্গলবার সকালে সাগরের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় এসব গ্রাম। এ কারণে ওই চার গ্রামের প্রায় তিন হাজার নারী- শিশু রাস্তায় আশ্রয় নেয়। তবে দুপুর একটার পর পানির প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করায় লোকজন বসত ঘরে ফিরতে শুরু করলেও রাতের জলোচ্ছাসে আবার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে দুপুর পর্যন্ত কোন পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান।