বগুড়ার নন্দীগ্রামে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ রণবাঘা হাটের ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকারি মূল্যের চেয়ে ৩২ লাখ ২৯ হাজার ২৬৫ টাকা কমে ইজারা প্রদান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২ টরি দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চন্দ্র মহন্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আ.লীগ নেতা শামীম শেখ, শাজাহান আলী, আবদুর রাজ্জাক, রাকিবুল হাসান, কৃষকলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সাঈদ রায়হান, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক, যুগ্ম-আহবায়ক সানোয়ার হোসেন মিলন, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, যুবলীগ নেতা আকতার হোসেন, মোফাজ্জল বারী, তাতী লীগের সভাপতি আবু নোমান, সৈনিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শুভ আহমেদ, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আবু তৌহিদ রাজীব প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের রণবাঘা হাট থেকে প্রতি বছর কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। এ বছর গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা ১৪২৮ সনের ইজারার জন্য পত্রিকায় দরপত্র আহবান করা হয়। সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৫ টাকা। সিডিউল বিক্রির শেষ তারিখ ছিল গত ২৮ এপ্রিল। পঞ্চম ধাপে দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন গত ২৯ এপ্রিল মেসার্স রাহী এন্টারপ্রাইজ ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার দরপত্র দাখিল করে। যা সরকারি মূল্যের চেয়ে ৩২ লাখ ২৯ হাজার ২৬৫ টাকা কম। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। গত ১৪২৭ সনে রণবাঘা হাট ইজারা দেয়া হয় এক কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা হাট-বাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত জানান, পঞ্চম পর্যায়ে দরপত্র আহবান করায় মাত্র একজন অংশ নিয়েছিলেন। সরকার মূল্যের চেয়ে কম হলেও সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নীতিমালা অনুসারে জেলা প্রশাসক তাকে ইজারা দিয়েছেন। তবে দরটি ভ্যাটসহ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাই হাট ইজারা প্রদানে কোন অনিয়ম হয়নি।